হয়ত সেই ইসলামিক স্টেটের প্রধান। এহেন জঙ্গি নেতা আবু হুসেন আল-কুরেশিকে খতম করা হয়েছে সিরিয়ায়। এমনই দাবি করলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়িপ 😼এরদোগান। তুরস্কের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কথা দাবি করেন এরদোগান। সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, 'এই জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয় তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক অভিযানে।' তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান,🧔 সিরিয়ায় আবু হুসেন আল-কুরেশিকে খুঁজে বের করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছিল তাঁর দেশের গোয়েন্দারা।
এদিকে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিরিয়ার জনদারিস নামক এক শহরে লুকিয়ে ছিল আবু হুসেন আল-কুরেশি। সেই শহর অবশ্য তুরস্কর মদত প্রাপ্ত বিদ্রোহীদের দখলে। সেই বিদ্রোহীদের থেকেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা। এই জনদারিস শহরটি ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে খুব বাজে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়๊েছিল। এদিকে তুরস্কের এই দাবির প্রেক্ষিতে মুখ খোলেনি সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। এই অঞ্চলে সিরিয়ান বাহিনীর বেশ উপস্থিতি আছে। এদিকে তুরস্কের মদত প্রাপ্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ হল সিরিয়ান সেনা।
তবে এরই মধ্যে সেই শহরের স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, শনিবার রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় জনদারি💝সের এক প্রান্তে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে সেই সংঘর্ষ। বিকট সব বিস্ফোরণ হয় সেই সংঘর্ষ চলাকালীন। পরে শসস্ত্র অনেক নিরাপত্তারক্ষী এলাকাটিকে ঘিরে ফেলে যাতে কেউ সেখানে যেতে না পারে। মনে করা হচ্ছে, এই অভিযানেই মৃত্যু হয়েছিল কুরেশির। উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে কুরেশি আইএসআইএস প্রধান হয়েছিল। তার পূর্বসূরি দক্ষিণ সিরিয়ার এক সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আবু বাকর আল-বাগদাদির নেতৃত্বে ইরাক এবং সিরিয়ার একটি বিশাল অঞ্চলের দখল নেয় ইসলামি﷽ক স্টেট। একটি ইসলামিক খালিফা ঘোষণা করে বাগদাদি। তবে পরবর্তীতে তারা জমি হারায়। তবে এখনও হাজার হাজার জঙ্গি এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। মার্কিন মদত প্রাপ্ত কুর্দিশ বাহিনী আইএস-কে খতম করতে অভিযান চালায় এই এলাকায়। এদিকে সিরিয়ান বাহিনীকে আইএস-এর বিরুদ্ধে সাহায্য করে ইরান ও রাশিয়া। তবে সিরিয়ান বাহিনী কুর্দিশদের প্রতিপক্ষ। এদিকে তুরস্কও কুর্দিশদের প্রতিপক্ষ। এই আবহে অনেক সময়ই তুরস্কের মদত প্রাপ্ত বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অঞ্চলে গিয়ে লুকিয়ে থাকে আইএস জঙ্গি নেতারা।