দীর্ঘ ১১ দিনের সংঘর্ষের পর শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম🍰ধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটল ইজরায়েল এবং গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। মিশর এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় শান্তি ফিরতে চলেছে বলে খবর মিলেছে। এই আবহে হামাস এটাকে নিজেদের 'জয়' বলে ঘোষণা করেছে। সংঘর্ꦅষবিরতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই গাজায় বসাবসরত প্যালেস্তিনীয়রা রাস্তায় নেমে বিজয় মিছিল করেন।
স্থানীয় সময় ভোর রাত দুটোর সময় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছিল হামাস। যদিও ইজরায়েল সরকারি ভাবে কোনও সময় জানায়নি। এই আবহে ইজরায়েলের উপর শেষ কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছিল হামাস। ইজরায়েলর প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, এদিনও হামাসের তরফে ৩০০টি রকেট উড়ে এসেছে ইজরায়েলের দিকে। এর জবাব♒ে ৩০টি রকেট ছুড়েছে ইজরায়েলও।
ইজরায়েলের দাবি, গত ১১ দিনে প্যালেস্তাইনের দিক থেকে ৪৩০০-র বেশি রকেট উড়ে এসেছে ইজরায়েলের দিকে। এই হামলায় ১২ জন ইজরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে ইজরায়েলের পালটা জবাবে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩২ জন প্যালেস্তিনীয়। মৃতদের☂ মধ্যে ৬৫ জন শিশু। এছাড়া ইজরায়েলি হানায় জখম হয়েছেন অন্তত ১৯০০ জন।
মিশর বলেছে, সংঘর্ষবিরতি যাতে লঙ্ঘন না হয়, তা নজরে রাখতে দুই দিকেই প্রতিনিধি দল পাঠাবে তারা। এদিকে ইজরায়েল-হামাস শান্তি চুক্তির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে এই সংঘর্ষ চলাকালীন ইজরায়েলি সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছিল আমেরিকা। এই আবহে সংঘর্ষবিরতি স্থির হওয়ায় বাইডেন বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, ইজরায়েলি এবং প্যালেস্তিনীয়দের সমান অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার। তাছাডꦍ়া স্বাধীনতা, উন্নতি এবং গণতন্ত্রের অধিকারও দুই দেশের নাগরিকদের সমান। আমার প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে দুই দেশে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে।'