🍌 'কাউন্টডাউন' শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স-এর সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র একসঙ্গে পথ চলা শুরু হতে আর সামান্যই অপেক্ষা করতে হবে।
🐬কারণ, মাস্কের সংস্থার তৈরি ফ্যালকন -৯ রকেট ব্যবহার করে এই প্রথম মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে চলেছে ইসরো। যে প্রক্রিয়া সোমবার (১৮ নভেম্বর, ২০২৪) ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
🍸উল্লেখ্য, স্পেসএক্স-এর রকেটে সওয়ার হয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতের অত্যাধুনিক জিস্যাট-এন২। ভারতজুড়ে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এবং উড়ানে ইন্টারনেটের সংযোগ আরও উন্নত করতে এই উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে।
🦩এই ঐতিহাসিক ঘটনার হাত ধরে প্রথমবারের জন্য স্পেসএক্স-এর কোনও রকেট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা 'নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড' (এনএসআইএল)।
কিন্তু, প্রশ্ন হল -
এই অভিযানের জন্য স্পেস এক্স-এর রকেট কেন ব্যবহার করছে ইসরো?
💫এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার, যেকোনও ধরনের ভারী উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর জন্য মূলত আরিয়ান রকেটের উপরেই এত দিন ভরসা করে এসেছে ইসরো কর্তৃপক্ষ।
🅘কিন্তু, এবার সেই অভ্যাসে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে রকেট পাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়াও জিস্যাট-এন২ উপগ্রহের ওজনও একটি কারণ বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই উপগ্রহটির ওজন হল - ৪,৭০০ কিলোগ্রাম।
ঠিক কখন এই উৎক্ষেপণ করা হবে?
💎সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজকের মধ্যেই (১৮ নভেম্বর, ২০২৪) এই উৎক্ষেপণ সেরে ফেলা হতে পারে। তবে, বাড়তি হিসাবে ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত সময় হাতে রাখা হয়েছে।
কোথা থেকে এই করা হবে এই উৎক্ষেপণ?
🌌এই উৎক্ষেপণ করা হবে মার্কিন মুলুক থেকে। আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশনের স্পেস লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪০ (এসএলসি-৪০) থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হবে।
ভারতের তৈরি জিস্যাট-এন২ উপগ্রহের বৈশিষ্ট্য কী কী?
🔴এই উপগ্রহের মাধ্যমে সহজেই বিপুল পরিমাণ ডাটা ট্রান্সফার করা যাবে। যা প্রায় ৪৮ জিবিপিএস-এর সমান হতে পারে।
🦂এই উপগ্রহে একাধিক 'বিম' রয়েছে। যার মাধ্যমে একইসঙ্গে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
♛অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই উপগ্রহ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে - সিএফআরপি নির্ভর কাঠামো, একাধিক লাই-ওন ব্যাটারি এবং একটি উন্নত মানের এওসিএস সিস্টেম।
মহাকাশে কতদিন মোতায়েন থাকবে জিস্যাট-এন২?
এই উপগ্রহের কার্যকালের মেয়াদ রাখা হয়েছে ১৪ বছর।