চিনা সরকারের কড়াকড়ির সময়ে হঠাত্ উধাও হয়ে গিয়েছিলেন ধনকুবের জ্যাক মা। কোভিড ঝড়ের মাঝে কোনও খোঁজই ছিল না বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ব্যক্তির। তবে ২০২২-এর শেষের দিকে হঠাত্ই মেলে আলিবাবা-র 'বাবা'র খোঁজ। জানা যায়, টোকিও-তে বাস করছেন চিনা বিলিয়নেয়ার। রীতিমতো চাকরবাকর, কর্মী সব নিয়েই গিয়েছেন। সেখানকার বড়লোকদের ক্লাবেরও তিনি সদস্য। চিনা সরকারের নাগালের বাইরে খোশ মেজাজে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আশেপাশের গ্রামও ঘুরে দেখছেন। আরও পড়ুন: চিন সরকারের ‘ভয়ে’ দেশছাড়া জ্যাক মা? জাপানে আছেন আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাত🐓া
তবে নিজের দেশকে মোটেও ভোলেননি আলিবাবা ডট কমের মালিক। এখন ফের চিনে করোনা হাঙ্গামা চালা💎চ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে সেখানে তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করছে। তাঁর এমনই এক উদ্যোগ 'রুরাল টিচার্স ইনিশিয়েটিভ'। এর মাধ্যমে চিনের প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষকদের সহায়তা প্রদান করেন জ্যাক মা। সম্প্রতি তাঁদের উদ্দেশেই একটি লাইভ ভিডিয়ো বার্তা দেন তিনি।
🐻সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের ജঅবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জ্যাক মা। তিনি বলেন, 'এই সময়ে শিক্ষকদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাঁদের গত বছরটা খুব কঠিন কেটেছে। পড়ুয়াদের সুস্থতার খেয়াল রেখেই তাদের পড়াতে হয়েছে।' বিষয়টি যে খুবই কঠিন, তা উল্লেখ করেছেন চিনা ধনকুবের।
প্রায় বছর☂ দু'য়েকের ব্যবধানে, গত নভেম্বরে হঠাত্ই জ্যাক মা-এর খোঁজ মেলে। ফিন্যানসিয়াল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি জাপানের গ্রামাঞ্চলের বরফ ঢাকা স্কি রিসোর্টে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি নাকি নিয়মিত ইজরায়েল ও মার্কিন মুলুকে যান। তার আগে তাঁকে নাকি স্পেন ও নেদারল্যান্ডসেও দেখা গিয়েছে।
বেজিং বর্তমানে প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উপর বেশ কড়াকড়ি করেছে। আলিবাবা, বাইডু, টেনসেন্টের মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অনায্য একচেটিয়া ব্যবসা-নীতির অভিযোগ এসেছে। নিয়ম না মেনে একের পর এক ছোট সংস্থাকে অধিগ্রহণ করে বাজারে একা নিজে ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে এই বড় সংস্থাগুলির উপর। বছর দুই আগে চিনের নিয়ন্ত্রকদের কড়াকড়ির বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন জ্যাক মা। তারপরেই তিনি 'হাওয়া' হয়ে যান। আরও পড়ুন:💎 Paytm Mall-এর হাত ছাড়লেন Alibaba-র জ্যাক মা, জলের দরে বেচে দিলেন শেয়ার
শুধু তাই নয়, আলিবাবা গ্রুপের থেকে চিনের প্রায় ১০০ কোটি বাসিন্দার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে। এক হ্যাকার দাবি তোলে, আলিবাবা গ্রুপের ওয়েবসাইট থেকেই এই তথ্য সাফাই করা হয়েছে। এরপর সংস্থার কর্তাদের ডেকে পা🍨ঠায় পুলিশ।