পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা নিয়ে ওড়িশার মানুষের মধ্যে কৌতূহল দীর্ঘদিনের। এমনকী ওড়িশার লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারকে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। সেখানে নবীন সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করেছে। এই অবস্থায় আগামী ৮ জুলাই রথযাত্রার দিন জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা হবে বলে জানিয়েছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআꦚই) এক আধিকারিক। তবে এএসআই-এর সেই দাবিকে খারিজ করে দিলেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন।
আরও পড়ুন: অহিন্দু হয়েও পুরীর জগন্নাথ মনꦍ্দিরে প্রবেশ, নিয়ম ভেঙে গ্রেফতার ৯ বাংলাদেশি
পৃথ্বীরাজ বলছেন, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৮ জুলাই রত্ন ভাণ্ডার খোলার বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নিꦍ। একজন আধিকারিক এরকম মন্তব্য করেছেন। তিনি⛎ বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। ওই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে রত্ন ভাণ্ডার খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পুরী সার্কেলের এএসআই-এর সুপারিনটেনডেন্ট দিবিশাদ গড়নায়েক বুধবার বলেছিলেন ৮ জুলাই কোর কমিটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে রত্ন ভাণ্ডার খোলা হবে। যেহেতু এই বছর রথযাত্রার ৭ এবং ৮ জুলাই। তাই ওই দিন খোলার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই জোর চর্চা শুরু 💛হয়েছিল ওড়িশায়।
প্রসঙ্গত, মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী ভগবান জগন্নাথকে নিবেদিত সমস্ত সোনা এবং ♍গহনা রত্ন ভাণ্ডারের দুটি কক্ষে সংরক্ষণ করতে হয়। যদিও বাইরের কক্ষ দেবতাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের জন্য খোলা হয়। তবে ভিতরের কক্ষটি ১৯৭৮ ✅সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি তিন বছর রত্ন ভাণ্ডার খুলে ভিতরের কক্ষে সমস্ত জিনিসপত্র খতিয়ে দেখতে হয় এবং সম্পত্তির পরিণাম অডিট করতে হবে। তবে ১৯৭৮ সাল থেকে কোনও অডিট হয়নি।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ জগন্নাথ মন্দিরের তৎকালীন প্রশাসকের নেতৃত্বে রত্ন ভাণ্ডার পরিদর্শনে গিয়েছিল। কিন্তু, চাবি না পাওয়ায় কক൲্ষটি খোলা যায়নি। সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ওড়িশার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আর এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।