গত ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন কর্ণাটকের জৈন ধর্মীয় সন্ন্যাসী শ্রীকামকুমারা নন্দী🌳 মহারাজ। কর্ণাটকের বেলগাভি জেলায় তাঁর আশ্রম থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। আর সেই ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে নন্দী পর্বত জৈন বসাড়িতে অবস্থান করছিলেন ওই জৈন সন্ন্যাসী। তাঁকে গত বৃহস্পতিবার থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। শনিবার, এমনই তথ্য সামনে আসতে থাকে। যদিও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। জুলাই এর ৬ তারিখে বাসাড়ি ভিমাপ্পা উগাড়ে লজের ম্যানেজার তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশে জানান। পুলিশ, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, তারা সেদিন থেকেই খোঁজ শুরু করেছে। শুরু হꦜয়েছে তল্লাশি অভিযান। পুলিশ বলছে, ‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি, আর আটক করেছি ২ জনকে এই কেসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে।’ পুলিশ বলছে, তাঁদের তল্লাশি অভিযান আপাতত চলছে দেহের খোঁজে। জানা যাচ্ছে, ওই জৈন সন্ন্যাসী বহু সময় অর্থ ধার দিতেন। আর টাকা ধার দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়েই ওই সন্ন্যাসীকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ওই সন্ন্যাসীকে তাঁর কোনও আত্মীয় হত্যা করেছেন। আর সেই ঘটনার সঙ্গেও টাকা ধার দেওয়ার বিষয়টি নিবদ্ধ রয়েছে। অনুমান পুলিশের।
এদিকে, জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্য🌃ক্তি নিজের দোষ স্ಌবীকার করেছেন। অভিযুক্তের দাবি, ওই সন্ন্যাসীর দেহ কেটে টুকরো করে তা কর্ণাটকের বেলাগাভির কাটকাভাবি গ্রামের একটি টিউবওয়েলের কাছে ফেলে দিয়েছে। বেলাগাোভির রায়বাগ তালুকে সেই টিউব ওয়েল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই দাবির পরই ওই অভিযুক্ত ফের দাবি করে যে, তারা দেহকে চাদরে মুড়ে একটি নদীতে ফেলে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ঘটনায় অভিযুক্তরা ওই আশ্রমে চাকরি করত। অভিযুক্তের নির্দিষ্ট করা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছে পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া খবরে, এখনও মেলেনি দেহের অংশ।