ফের বড়সড় 'ভুল' করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে 'পুতিন' বলে ডাকলেন। আবার কথায় কথায় কমলা হ্যারিসের কথা বলতে গিয়ে নিজের ভআইস প্রেসিডেন্টকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বানিয়ে দিলেন। এর আগে বিগত কয়েকদিন ধরেই জো বাইডেনের শারীরিক অসুস্থতা এবং অক্ষমতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যে বারবার অনুরোধ করছেন ডেমোক্র্যাটদের একাংশ। তবে তিনি নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়েছেন যে তিনি নির্বাচনে লড়বেনই। এরই মাঝে একাধিক ক্ষেত্রে এই ধরনের 'ভুল' করে চলেছেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'নতুন পিচে খেলা হবে', সুপ্রিম কোর্টের বকেয়া ডিএ♎ মামলায় এল বড় পরিবর্তন)
আরও পড়ুন: বাড়ল EPFO-র সুদের হার, সরকারের সিদ্ধান্তে পকেট ফুলে উঠল ৭ কোটি চাকর𒁏িজীব🗹ীর
রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাটো সামিটে তিনি কমলা হ্যারিসকে ভুল করে ট্রাম্প বলে ডাকেন। কথায় কথায় তিনি বলেন, 'আমি যদি মনে করতাম যে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন, তাহলে ট্রাম্পকে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টও বানাতাম না।' আদতে তিনি কমলা হ্যারিসের কথা এখানে বলতে গিয়ে তাঁকে ভুল করে 'ট্রাম্প' বলেছেন। এদিকে এই একই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তিনি পুতিন বলে সম্বোধন করে বসেন। নিজের ভাষণ শেষে তিনি জেলেনস্কিকে বক্তব্য রাখার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছিলেন। সেই সময় বাইডেন বলে বসেন, 'আর এখন আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কথা বলার জন্যে অনুরোধ করব... লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন।' (আরও পড়ুন: কালো মেঘে♍ 🧔ঢাকা আকাশ, হচ্ছে বৃষ্টি, আজ সারাদিনে কলকাতার আবহাওয়া থাকবে কেমন?)
আরও পড়ুন: ১১৯ দিন পর ফের 'আনলাকি' সরকা🐓রি কর্মীরা? ১৩-র ফাঁড়া কাটবে কি, বাতলে দেবে ‘৬০’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক 'ভুল' করেছেন জো বাইডেন। সাক্ষাৎকার থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডিবেটে জড়িয়েছে তাঁর কথা। এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে হোয়াই হাউজে এসেছিলেন পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ। এই আবহে বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও জল্পনা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৭ জানুয়ারি পার্কিনসন বিশেষজ্ঞ ডঃ কেভিন কানার্ড হোয়াইট হাউজে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডঃ কেভিন ও'কনরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দুই চ𓄧িকিৎসকের মধ্যে কী কথা হয়েไছিল, তা জানা যায়নি। তবে এই রিপোর্ট সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, বাইডেনের কি তাহলে পার্কিনসন হয়েছে? প্রসঙ্গত, বয়সের চাপে ঝুঁকে পড়া বাইডেনকে নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে। ট্রাম্পও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বারংবার। এরই মাঝে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও 'হোঁচট' খেলেন বাইডেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারে দাঁড়িয়ে বাইডেন বলেন, '২০২০ সালে ট্রাম্পকে আবারও হারাব'। আর তাঁর সেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কথা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। বাইডেনের পরপর 'হোঁচট' দেখে ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন বাইডেন। তাঁর দাবি, তিনি অনায়াসে ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ইন♏্টারভিউতে বাইডেন বলে ফেলেছিলেন, 'আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেꦍসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা আমিই।' এর আগে আগে সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বিতর্কে 'ডাহা ফেল' করেছিলেন জো বাইডেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বারবার কথা জড়িয়েছিল বর্তমান প্রেসিডেন্টের।