ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার সময় বেনজির ঘটনা ঘটে সংসদে। ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা🌜 দেয়। বিজেপি সাংসদ অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়🥃ের তুমুল তর্কাতর্কি হওয়ার জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, টেবিলে থাকা কাচের জলের বোতল জোর ঠুকে রাখেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই তা ভেঙে আহত হন শ্রীরামপুরের সাংসদ। হাতে চোট লেগে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলেও বুধবার তা চর্চায় উঠে আসে। কড়া সমালোচনা করেন বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ জগদম্বিকা পাল। পাল্টা জবাব দেন কল্যাণও।
এই ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দ। এই কমিটির চেয়াম্যান বিজেপির সাংসদ জগদম্বিকা পাল নিরপেক্ষ ছিলেন না বলেই অভিযোগ করেছেন কল্যাণ। তাই সেই রাগ উগরে দিতে গিয়েই কল্যাণবাবু আহত হন। যদিও জগদম্বিকা পাল বলেন, ‘আমার ৪০ বছরের সংসদীয় জীবনে আমি নানা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। তখনও নানা♉ মতপার্থক্য হয়েছে। কিন্তু আজকে কী ঘটল! আমরা কখনও কল্পনাই করতে পারি না এমন ঘটনা ঘ🦄টতে পারে।’ এই ঘটনায় কল্যাণবাবুর ডান হাতের বুড়ো এবং কড়ে আঙুলে ছটি সেলাই পড়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর ৬০০ অস্থায়ী হোর্ডিং খুলল কলকাতা পুরসভা, পাঠানো হল জরিমানার চিঠি
এই ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ বৈঠক বন্ধ হয়ে যায়। তর্কাতর্কির জেরে মেজাজ হারান শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কাচের বোতল তুলে টেবিলের ওপর আছড়ে ভেঙে ফেলেন। আর তখনই তাঁর হাত কেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ওয়াকফ কমিটি থেকেই সম্পূর্ণ সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কল্যাণবাবুকে। কিন্তু প্রবল আপত্তি করেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সদস্যরা। তখন একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। বিরোধীরাদের বক্তব্য ছিল, ওয়াকফ বিল সংবিধানের পরিপন্থী। তার ফলে একদিকে যেমন মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে তেমনই সেটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো🐬র পক্ষেও ভাল নয়।
কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এই ওয়াকফ বিল নিয়ে দু’পক্ষের মতবিরোধ ঘটে। তারপর যা ঘটেছে কা নিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত🅺। আমি বিষয়টি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানিয়েছি। এটা সবচেয়ে বড় ঘটনা যা সংসদে প্রথম ঘটল। তার জেরে আমাদের বৈঠক মুলতুবি করে দিতে হয়। ওড়িশার দু’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। একজন সিনিয়র আইনজীবী এবং একজন প্রাক্তন বিচারপতি। দেশের কাছে কেমন বার্তা গেল! এমন ব্যবহার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবা উচিত। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এখন আমাকে অভিযুক্ত করেছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে নালিশ করতে পারতেন। আমি ইস্তফা দিতে তৈরি।’ পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘অসত্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’