কয়োকমাস আগেই বহুপাক্ষিক শান্তি চুক্তি সই হয়েছিল দোহায়। সেই চুক্তি অনুযায়ী আমের🐲িকা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার ক💛থা। পাশাপাশি দেশে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তালিবান। আমেরিকা নিজের কথা মানলেও শান্তি চুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের আফগানিস্তানকে ক্ষতবিক্ষত করছে তালিবানরা।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের দশটি প্রদেশ দখল করেছে তালিবান। রাজধানী কাব꧅ুল থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূর অবস্থিত গজনি শহরও বৃহস্পতিবারই কব্জা করেছে তারা। দেশের তৃতীয় বৃহৎ শহর হেরাতও তাদের দখলে চলে গিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে সেই দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রদেশ তালিবানের দখলে।
এদিকে দেশের জনগণকে রক্ষা করার স্বার্থে এবং কাবুলকে অক্ষত রাখতে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। তালিবান জঙ্গিরা যেভাবে নির্মমভাবে প্রদেশ ও শহরগুলিতে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তাতে কাবুলের পতন বেশি দূরে নেই। তার প্রেক্ষিতেই সরকারের এই প্রস্তাব। উল্লেখ্য, তালিবান বাহিনী ইতিমধ্যেই সার-ই-পোল, শেবারঘান, আইবাক, কুন্দুজ, তালুকান, পুল-ই-খুমরি, ফারাহ, জারঞ্জ, ফৈজাবাদ এবং অতি সম🉐্প্রতি গজনি এবং হেরাট দখল করে🍨ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন এবং তালিবানের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তারপর আমেরিকা বাগরাম বিমান ঘাঁটি থেকে সৈন🦩্য প্রত্যাহার করে। তবে তার সঙ্গে সঙ্গেই তালিবান বাহিনী জোরালো আক্রমণ করে আফগানিস্তানের উপর। আফগানিস্তানে তালিবানের এই♌ বাড়বাড়ন্তে সাহায্য করার জন্য কাবুল ইসলামাবাদের সমালোচনা করছে। তালিবানের সহায়ক বলে পাকিস্তানকে দায়ীও করেছে।
এদিকে আফগানিস্তানের শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন আলোচনায় যোগ দিচ্ছে ভারত। এর জন্য দোহায় পৌঁছেছেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জেপি সিং। দোহায় ওই বৈঠকে অংশ নেবেন কাতার সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধি। বৈঠকে আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক সাহায্য করা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন🐼 বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।