কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এই দুর্ঘটনায় অনেক রেলকর্মীর মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে রেল। এই আবহে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, মৃতের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এদিকে গুরুতর আহত যাত্রীদের আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এদিকে সামান্য আহত যাত্রীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এদিকে অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে চলেছেন আর কিছুক্ষণে। বিকেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও যাচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। (আরও পড়ুন: কিছু জায়গায় অনিয়ম ধরা পড়েছে, নিট প𓃲্রশ্নকাণ্ডে 'সুর বদল' ধর্মেন্দ্র প্রধানেꦆর)
আরও পড়ুন: ২০২৪ UౠPSC সিভিল সার্ভিস প্রিলিমস পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হল? কত হতে পারে কাট-অফ?
আরও পড়ুন: শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক▨ে নির্মলা, কব𒆙ে পেশ হতে পারে ‘ঐতিহাসিক’ পূর্ণাঙ্গ বাজেট?
উল্লেখ্য, আজ সকালে শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ যাত্রীর। আহত হন অন্তত ৩০ জন যাত্রীর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করে, ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বহু রেলকর্মী আছেন। মালগাড়ির চালকের প্রাণ চলে গিয়েছে। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডও মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে আসে। আর সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এদিকে ধাক্কার জেরে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে একটি বগির অর্ধেক অংশ উঠে যায়। একটি বগি পুরো রেললাইনের পাশে উলটে পড়ে যায়। সেইসবের মধ্যেই ওই ঘটনায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণায়, এবার পকেট༒ থেকে খসবে টাকা)
আরও পড়ুন: ৯% ডিএ বাড়িয়ে করা হল ২৩৯ শতাংশ, রাজ্য সরকারি কর্মীদ𓄧ের দেওয়া হবে ব��কেয়াও
এই আবহে রেলের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, সিগনাল ফেল করার জেরেই মালগাড়িটি গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে। জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি ওভারলোডেড ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপꦯ্রেসের গতি ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার ছিল। মালগাড়িটিও যথেষ্ট গতি ছিল। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী যে ট্রেনগুলি থাকে, সেগুলিকেই মূলত গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে লাইন দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেই লাইনে দেওয়া হয় অন্যান্য ট্রেন। তবে আজ ওই ক্র꧂সিং পয়েন্টে এসে মালগাড়ি ধাক্কা মারল কাঞ্চনজঙ্ঘা এসপ্রেসে।