বিয়ে মানে সম্পর্কের বন্ধন। শুধু বর-কনেই নয়, বিয়ে হল দু'টি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন। কিন্তু এখনকারে দিনে অনেকের কা🅘ছেই, এসব বিষয় গৌণ। বরং মেক-আপ, সাজ, ছবিতেই গুরুত্ব বেশি।
শখ থাকতেই পারে। তবে সাধ্য থাকে না সকলের। সেটাও না হয় মানা গেল। কিন্তু ছবি তোলা হবে না বলে বিয়েই ভেঙে দেওয়া? হ্যাঁ, এমনই আজব ঘট🃏না🌳 ঘটল উত্তরপ্রদেশে। বর ফটোগ্রাফার জোগাড় করতে না পারায় বিয়েই 'ক্যানসেল' করে দিলেন কনে।
ঘটনাটি রবিবার (২৯ মে) কানপুরের একটি গ্রামে ঘটেছে
পাত্রী কা🦹🅺নপুর দেহাটের মঙ্গলপুরের একটি গ্রামের। কৃষকের মেয়ে। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ভোগনিপুরের এক পাত্রের সঙ্গে।
শুধু বিয়ে ঠিকই নয়। সমস্ত আয়োজনই হয়ে গিয়েছিল। অনেক🐟ཧ খরচ করে অনুষ্ঠানের জোগাড় সারেন কনের বাবা।
বিয়ের দিন সময় মতো 'বারাত' (বিয়ের মিছিল) এসে গেল। কনের পরিবার তাঁদের রীতিমাফিক স্বাগত জানায়। মালাবদলের🍷 জন্য কনে এবং বর মঞ্চে যায়।
ফটোগ্রাফার বা ভিডিওগ্রাফার নেই?
স্টেজে উঠেই চারিদিকে তাকাতে থাকেন ক🎃নে। আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুরা তো আছেন। কিন্তౠু আসল লোক কই?
কনে বুঝতে পারেন, তাঁর স্মরণীয় মুহূর্ত ধরে রাখার জন্য কোনও ফটোগ্রাফার বা ভিডিয়োগ্রাফারের ব্যবস্থা নেই। সঙ্গে সঙ্গেই বিয়েতে অংশ নিতে অস্বীকার করেন কনে। শুধু তাই নয়, বিয়ের মঞ্চ 🦹থেকে নেমে আসেন। চলে যান পাড়ার এক প্রতিবেশীর বাড়ি।
সবাই মিলে কনেকে বোঝানোর অনেক ꦗচেষ্টা করেন। কিন্তু কনের সাফ কথা, 'যে মানুষটা আজ আমাদের বিয়ের বিষয়েই যত্ন নেয়নি, সে ভবিষ্যতে কীভাবে আমার দেখভাল করবে?'
পরিবারের বড়রাও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে কไোনও কথাই শুনতে নারাজ কনে।
ব্যাপার-স্যাপার দেখে স্থানীয় থানায় যায় বরপক্ষ। থানা থেকে মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ✅রপর দুই পক্ষই পারস্পরিক সম্মতিতে বিনিময় করা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ফেরত দিতে সম্মত হয়।