কর্ণাটকের রাজ্য রাজনীতিতে এখন ঘটনার ঘনঘটা! একদিকে, মুডা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বৃহস্পতিবার সাফ জান♌িয়ে দিয়েছে🤪ন, তিনি কোনও মতেই পদত্যাগ করছেন না।
অ💝ন্যদিকে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এদিনই যেকোনও মামলায় সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে 'সাধারণ/প্রকাশ্য ঐ♓ক্যমত' প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার।
উল্লেখ্য, বুধবারই কর্ণাটকের একটি আদালত মুডা কেলেঙ্কার🎐িতে সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য লোকায়ুক্ত পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
নানা মহলের প্রশ্ন ছিল, এরপর সিদ্দারামাইয়া কী কর﷽বেন? তিনি কি পদত্যাগ করবেন? কারণ, মুডা কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ানোর পর থেকেই বিজেপি সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবি তুলতে শুরু করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দেন, তিনি মোটেও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়বেন না। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং তা 'বিজেপির ষড়যন্ত্র𝄹'।
সিদ্দারামাইয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আইনি পথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্ত🥀ুত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মুডা মামলায় প্রথমে কর্ণাটকের রাজ্যপাল সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার অনুমতি দেন। তার বিরোধিতা করে কর্ণাটক হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বাꦗরস্থ হন সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু, আদালত রাজ্যপা🔯লের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়।
সূত্রের খবর🌞, এবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সোমবারই এই পদক্ষেপ করবেন বলে স্থির করে ফেলেছেন তিনি।
এদিকে, শেষ আসা খবর🍰 অনুযায়ী, বুধবার আদা♌লতের নির্দেশ পাওয়ার পরও লোকায়ুক্ত পুলিশ মুডা কেলেঙ্কারিতে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করেনি। তাদের বক্তব্য, তারা আদালতের নির্দেশ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছে এবং শীঘ্রই এফআইআর দায়ের করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এই ডামাডোলের মধ্যেই এদিন রাজ্যে যেকোনও সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে 'সাধারণ/প্রকাশ্য ঐক্যমত﷽' প্রত্যাহার করে নিল সিদ্দারামাইয়া সরকার। সংশ্লিষ্ট মহল রাজ্য সরকারের এ♎ই পদক্ষেপকে মুডা কেলেঙ্কারিতে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ানোর পালটা চাল হিসাবেই দেখছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের দি𒆙ল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনের ৬ নম্বর ধারা অনুসারে, যে কোনও ঘটনায় তদন্ত শুরু করার ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের কাছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের 'সাধারণ/প্রকাশ্য ঐক্যমত' থাকা আবশ্যিক।
যদি সিবিআইয়ের কাছে এই অনুমতি না থাকে, তাহলে একমাত্র 🐻আদালতের নি﷽র্দেশেই তারা সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির তদন্ত করতে পারে।
প্💟রসঙ্গত, এর আগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও একই পদক্ষেপ করেছিল। এবার একই পথে হাঁটল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকার।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল,🎀 কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার থাকাকালীন সিবিআইকে খাঁচাবন্দি তোতাপাখি বলে তিরস্কার ক🌌রেছিল আদালত। সম্প্রতি, তৃতীয় এনডিএ সরকারের আমলেও সিবিআইকে ঠিক একইভাবে আদালতে ভর্ৎসিত হয়ে হয়েছে।