বুধবার ফেসবুককে সতর্ক করে ꦉদিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। বর্তমানে সৌদি আরবে বন্দী এক ভারতীয় নাগরিকের মামলার তদন্ত চলছে। আর সেই প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রণয়নকারীদের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না ফেসবুক। এমনই অভিযোগ। এর ভিত্তিতে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার মতো গুরুতর পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের বে💙ঞ্চ কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা কবিতার দায়ের 🍸করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই সতর্কতা জারি করেছে। বেঞ্চ ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছে, 'এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ সম্পূর্ণ রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।'
আদালত আরও দাবি করেছে যে, সৌদিতে একজন ভারতীয় না♍গরিকের অন্যায় গ্রেফতারির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যা য🌊া পদক্ষেপের গৃহীত হয়েছে, সেই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে।
ম্যাঙ্গালুরু থেকে সৌদিতে কর্মসূত্রে গিয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিক শৈলেশ কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে সৌদি বাদশাহ এবং ইসলামকে লক্ষ্য করে একটি অবমাননাকর ফেসবুক পোস্টের অভিযোগ রয়েছে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সৌদিতে জেলে বন্দি তিনি। তাঁর স্ত্রী কবিতা পাল্টা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, আপত্তিকর পোস্টটা তাঁর স্বামী করেননি। তাঁর স্বামীর ছবি নাম দিয়ে কেউ ফেক প্রোফাইল খুলেছিলেন। সেখান থেকে পোস্ট করা হয়েছে। কবিতার বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁর স্বামী গত ২৫ বছর ধরে 🌟সৌদি আরবে কর্মরত।
শৈলেশ কুমার ফেসবুকে ভারত সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এবং ন্যাশনাল রেজিস্ট🦹ার অফ সিটিজেনশিপ (NRC) উদ্যোগের সমর্থনেও একটি পোস্ট করেছিলেন। এই পোস্টের পরেই তিনি একটি হুমকি কল পেয়েছিলেন। এরপরেই ভয়ে তিনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি তাঁর স্ত্রীর।
তাঁর কথায়, এর পরেই কেউ শৈলেশের নাম ব্যবহার করে একটি জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। আর সেটা থেকে সৌদি রাজা এবং ইসলামকে লক্ষ্য কর﷽ে অবমাননাকর পোস্ট শেয়ার করা হয়। এভাবে ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে শৈলেশকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ কবিতার।
বিতর্কিত প🐈োস্টের কারণে শৈলেশকে সৌদি আরবে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে বিচার বিভাগ। ত♓াঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর স্ত্রী স্বামীর পরিচয় ব্যবহার করে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছিল বলে ভারতে থানায় ২০২১ সালে অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার, ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কুলদীপ কুমার জৈন এবং তদন্তকারী অফিস𝔉ার হাইকোর্টে হাজির হন। তিনি হাইকোর্টকে জানান, ফেসবুক ‘আইন প্রণয়নকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার অভাবে’র কারণে তদন্ত বিলম্বিত হয়েছে🌊। এরপরেই ফেসবুককে সতর্ক করে দেয় আদালত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক