যৌন🥂 অপরাধ থেকে শিশুদের 🌃সুরক্ষা (পকসো) আইনের ক্ষেত্রে ‘সম্মতির বয়স’ নিয়ে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হল ভারতের আইন কমিশনকে। এই নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, এক অভিযুক্তের মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির সময় আইন কমিশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটকের উচ্চ আদালতের বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজ ও জি বাসবরাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ১৭ বছর বয়সি এক নাবালিকা একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরে উভয়ের সম্মতিতেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালত বলে, ‘১৬ বছরের বেশি বয়সি নাবালিকা মেয়েদের প্রেমে পড়া এবং পালিয়ে যাওয়া এবং ছেলের সঙ্♛গে যৌন মিলনের বিষয়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে সাম্প্রতিককালে। পরে, আমরা বিবেচনা করি যে ভারতের আইন কমিশনকে এই বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বাস্তবতা বিবেচনা করে পকসো আইনে বয়সের মানদণ্ড নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’
উল্লেখ্য, পলাতক মেয়েটির মা-বাবা ছেলেটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তবে মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই ছেলেটিকেই বিয়ে করে এবং এখন তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। এই আবহে অভিযুক্তের মুক্তির নির্দেশ বহাল রাখে উচ্চ আদালত। আদালত বলে, পকসো এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিষয়ে অবগত না থাকার কারণেই তরুণ তরুণীরা এই ধরনের ভুল করছে। কর্ণাটকের শিক্ষা দফতরকে পকসো আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। হাই কোর্ট বলে, নবম শ্রেণি থেকে ছাত্রছাত্রীদের পকসো এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি নিয়ে সচেতন করা উচিত। হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই কর্নাটকের শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব এব্যাপারে কমিটি গঠনের ൲নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরেই সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৫ ডিসেম্বর।