নরবলির বিভৎস রিপোর্ট শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিল কেরল হাই কোর্ট। সেই ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পুলিশি জেরায় দুই অভিযুক্ত ভগবল সিং এবং তার স্ত্রী লয়লা স্বীকার করেছেন যে তারা মৃতের মাংস খেয়েছিলেন। লয়লা দাবি করে তাদের ﷽‘এজেন্ট’ও সেই মাংস খেয়েছিল। মৃতদেহের ‘বিশেষ অংশ’ রান্না করেছিল বলে জানায় লয়লা এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনা ঘিরে। পুলিশ বল🌳েছে, যা যা অত্যাচার করা হয়েছে, তা আমরা বলে বর্ণনা করতে পারব না।
দুজন গরিব লটারি বিক্রেতাকে অপহরণ করে হত্যা করে মাটির তলায় পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মৃতদেহর ৫৬টি টুকরো করা হয়েছিল। প্রথম খুনটা হয় জুন মাসে। দ্বিতীয়টি সেপ্টেম্বরে। রোজেলিন নামক মহিলাকে খুন করা হয় জুনে। পদ্মা নামক মহিলাকে খুন করা হয় সেপ্টেম্বরে। তাদের বয়স ৫০-৫২ বছরের মধ্যে♕। পুলিশ জানায়, খুন করে মহিলাদের স্তন কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হত। যতক্ষণ না শরীর থেকে পুরো রক্ত বয়ে যেত, ততক্ষণ সেভাবেই মা🍨টিতে ফেলে রাখা হত দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তুকতাক, কালাজাদু করার জন্য মহম্মদ সফি ওরফে রশিদ নামে এক ব্যক্তি রাজি করেছিল এই দম্পতিকে। কোচি শহরের পুলিশ কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম সফি প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্ত সফি একজন বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তি। আমরা তদন্ত করছি, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও কেউ আছে কিনা এবং এরকম আরও ঘটনা ঘটেছে কিনা। সফির বিকৃত উদ্দেশ্য ছিল এই ঘটনার পিছনে। সফি এর আগে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। এই সফি💃 মৃত মহিলাদের অপহরণ করে নিয়ে এসেছিল।’ এদিকে পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, জেরায় ধৃত দম্পতি নরমাংস ভক্ষণের কথা স্বীকার করলেও এর প্রেক্ষিতে প্রমাণ দরকার। ফরেনসিক দল প্রমাণ ও নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে।