তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) অধীনে তথ্য সরবরাহ করা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকে। এমনটাই জানাল কেরল হাই কোর্🐎ট। উচ্চ আদালত জানায়, সিবিআই ছাড়াও দেশের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিরাপত্তা সংস্থা আরটিআই এবং স্বচ্ছতা আইনের আওতায় পড়ে না। কেরল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার এবং বিচারপতি সাজি পি চালির বেঞ্চ গত ৩১ অক্টোবর এই পর্যবেক্ষণটি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আবগারি ও শুল্ক বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন যাতে কিছু কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের রিপোꦰর্ট প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার প্রেক্ষিতেই উচ্চ আদালত জানায়, আরটিআই-এর পরিধির অধীনে পড়ে না সিবিআই। এর আগে কাস্টমস অফিসারদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত রিপোর্টের বিশদ জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী। তবে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেও ফের তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি কেরল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। তবে সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, আবেদনকারী প্রাক্তন আবগারী অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পেতেই সিবিআই রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছেন। আবেদন🦩কারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১২ সালে তিরুবন্তপুরম বিমানবন্দরে কাজ করার সময় ব্যক্তিগত আর্থিক লাভের কারণে কয়েকজন এনআরআই-এর ব্যাগ ঠিক ভাবে দেখেননি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সেই অভিযোগের মামলা এখনও তিরুবন্ততপুরমের স্পেশাল জজের সামনে বিচারাধীন। তাঁর দাবি, সংশ্লিষ্ট সিবিআই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আরটিআই-এর মাধ্যমে সিবিআই-এর থেকে কোনও জবাব পাওয়া যায় না এভাবে। সিবিআই আরটিআই-এর জবাব দিতে বাধ্য নয়।