মাইসোরের শাসক টিপু সুলতানকে নিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর শহরে। সেখানে পাথর ছোড়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে এই সোশ্যালꦉ মিডিয়া পোস্টের জেরে। হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থী সংগঠনগুলি এই আবহে কোলহাপুরে বনধের ডাক দিয়েছে। অপরদিকে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় সেখানে। এই মারাঠা শহরে কার্ফু জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এই বিষয়ে বলেন, 'সম্প্রতি ঔরঙ্গজেবের সন্তানরা জন্ম নিয়েছে মহারাষ্ট্রে। এর জেরে সমাজে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।'
জানা গিয়েছে, একটি সোশ্যাল মিডিয়া স্টেটাসে টিপু সুলতানের ছবি ব্যবহার করে তার সঙ্গে 'আপত্তিকর অডিও' জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে কোলহাপুরের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এদিকে লাইভহিন্দুস্তানের রিপোর্ট অনুযায়ী, টিপু সুলতানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ানোর পর স্থানীয় কয়েকজন ঔরঙ্গজেবের সমর্থনে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এরপরই হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থী কিছু সংগঠনের নেতারা কোলহাপুরের শিবাজি চকে বিক্ষোভের জাক দেন। এদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, সভার পর শান্তিপূর্ণ ভাবেই সবাই সেখান থেকে চলে যাচ্ছিল। তখনই নাকি তাদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। সভায় আগতদের ওপরে পাথর ছোড়া হয়। কোলহাপুরের🦹 পুলিশ সুপার মহেন্দ্র পণ্ডিত জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে ২১ জনকে এখনও আটক করা হয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে শহরের রাস্তায়।
এদিকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসরকর জানান, যারা টিপু সুলতানের ছবি ব্যবহার করে পোস্ট করেছেন, তাগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এনকনাথ শিণ্ডে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, 'আইন হাতে তুলে নিলে কেউ রেহাই পাবে না। আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কল্যাণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।' এদিকে এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন একনাথের ডেপুটি দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তাঁর অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরে বিরোধী নেতারা দাঙ্গার 'আশঙ্কা' প্রকাশ ক🐭রছিলেন। আর এখনও একটি সম্প্রদায় টিপু সুলতান এবং ঔরঙ্গজেবের জয়জয়কার করছে🌼। এটা নিছক কাকতালীয় হতে পারে না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, 'শাসকদল দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা ঠিক হচ্ছে না।'