২০২০ সালের আগের স্থিতাবস্থা ফেরেনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। ভারত ও চিনা সেনার সীমান্ত টহল চুক্তি নিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। এমনকী তিনি আরও দাবি করেন, অরুণাচল প্রদেশে চিনা সেনা ইয়াংস্টে-তে টহলের অনুমতি দিয়েছে ভারত। এই সব দাবি নিয়ে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছেন ওয়াইসি। সেখানেই তিনি দাবি করেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা বদলে ফেলেছে চিন, আর তাই দুই দেশের সেনার চুক্তি নিয়ে এত গোপনীয়তা অবলম্বন করছে মোদী সরকার। (আরও পড়ুন: প্যান ডি থেকে শেলকাল, প্রকাশিত নিম্নমানের ওষুধের পূর্ণাঙ্গ𒁃 তালিকা, দেখুন একনজরে)
এই নিয়ে ওয়াইসি নিজের পোস্টে লেখেন, 'সরকারি সূত্র মারফত জানতে পেরেছি যে এবার থেকে চিনা টহলকারী দলকে 'আগের মতো' অরুণাচল প্রদেশের﷽ ইয়াংস্টে পর্যন্ত আসতে দেবে ভারত এবং তাদের 'আটকানো হবে না'। তো এই কারণেই মোদী🌜 সরকার এই চুক্তির বিষদ লুকোচ্ছে দেশের থেকে? অরুণাচলের ওপর আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি প্রত্যাহার করে চিনের কাছে হার মেনেছে মোদী সরকার।' এরপর ওয়াইসি আরও লেখেন, 'এমনকী সামরিক ভাবে আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডেপস্যাঙের মতো জায়গাতেও চিনকে এমন জায়গা পর্যন্ত টহল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, আগে যেখানে তারা আসত না। এটা আমাদের সেনার জন্যে দীর্ঘদিন ধরেই একটা লালরেখা ছিল এবং এটা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।'
এরপর মোদী সরকারকে তোপ দেগে ওয়াইসি লেখেন, 'এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলে ফেলেছে চিন। দুর্বল মোদী সরকার বদলে যাওয়া 🗹সেই স্থিতাবস্থা গ🦋্রহণ করেছে। এই বোঝাপড়ায় ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। আর ২০২০ সালের জুন মাস থেকে সরকার দাবি করে আসছিল যে ভারতের মাটিতে কোনও চিনা সেনা অনুপ্রবেশ করেনি, তাও ভুল প্রমাণিত হয়েছে।'
এদিকে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনা প্রত্যাহার💛ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্⛎যে ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে দাবি করা হয়েছে, এই মাসের শেষেই এই সব এলাকায় শুরু হয়েছে যাবে দুই দেশের সেনার টহল। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কাটতে চলেছে লাদাখে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পশ্চিম দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় 'বটলনেক' অঞ্চলে টহলদারির ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাকে আর বাধা দেবে না চিন। এই 'বটলনেক' অঞ্চলটি ভারতের দাবি করা এলাকার ১৮ কিলোটিমার ভিতরে বলে জানা যায়। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়ে ফেলেছিল চিন। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে।