রবিবার দুপুর। শয়ে শয়ে মহিলারা বেরিয়ে পড়লেন ঢাকার রাজপথে। একেবারে হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। একেবারে অন্য়রকম ছবি। মুখে ধর্ষণ রুখতে স্লোগান। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ছিল ছোট ছোট লাঠি। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, 𒅌ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, শাহবাগ মোড় ঘুরে মিছিলটি আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পড়ুয়া এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাও এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিল থেকে নানা ধরনের স্লোগান তোলা হয়। সেই মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, খুন, ধর্ষণ নিপীড়ন, রুখে দাঁড়াও জনগণ, অবিলম্বে ধর্ষকদের বিচার করো করতে হবে। স্লোগꦡান ওঠে ধর্ষকরা ধর্ষণ করে, প্রশাসন কী করে? বেগম রোকেয়া শিখিয়ে গে♚ছে লড়াই করে বাঁচতে হবে। এরকমই নানা ধরনের স্লোগান তোলা হয়।
এমনকী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর অপসরাণের দাবিও ওঠে এই মিছিল থেকে। ৯ দফা দাবি তোলা হয় এদিনের মিছিল থেকে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে হবে। সারা দেশে অব্যাহক ধর্ষণ, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী নিপীড়ন, চুরি ডাকাতি ছিনতাই বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তাঁদের তরফে দাবি তোলা হᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ💟য় পাহাড় সমতল সহ সর্বত্র ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য় আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে সহ নানা ধরনের দাবি তোলা হয়।
সেই সঙ্গেই দাবি তোলা হয়, শ🍸িক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়♒া ও শিক্ষকদের স্বাধীন যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন লেখিকা নিগার সুলতানা। তিনি বলেন, প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে লাঠি নিয়ে এসেছেন। তাঁরা শিশু, নারী সহ প্রত্যেকের নিরাপত্তা চান। ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিচার দ্রুত করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দ্রুত বিচার মানে এই নয় যে কারোর সঙ্গে আবার অন্যায় হোক। অপর💯াধীরা শাস্তি পেলে অপরাধ করার প্রবণতা কমে আস🃏বে।
তবে দাবি করা হচ্ছে যে নির্দিষ্ট কোনও সংগঠনে༒র তরফে এ💯ই লাঠি মিছিলের আয়োজন করা হয়নি।
তবে এভাবে মহিলারা যেভাবে লাঠি নিয়ে🔴 বাংলাদেশের রাস্তায় বেরিয়ে এলেন তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।