রাম নবমীর দিনে মাংস খাওয়া ঘিরে তোলপাড় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, রবিবার ক্যাম্পাসে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে সংঘর্ষ হয় এই নিয়ে। এবিভিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন-ভেজ খাবার খেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বামপন্থী ছাত্ররা। এদিকে এবিভিপ💦ির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে যে হোস্টেলে পূজা করতে বাধা দিয়েছে বামপন্থী পড়ুয়ারা। এই আবহে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। এবিভিপির বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। মেস সেক্রেটারিকেও এবিভিপি কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, জেএনইউ-এর কাবেরি হোস্টেলে রাম নবমীর পূজা করছিলেন প্রাক্তন ছাত্ররা। একই সঙ্গে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো পূজার অনুমতি দিতে চায়নি। তবে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা চলে। এদিকে পূজা বন্ধ করতে না পেরে আমিষ খাবার বন্ধের প্রসঙ্গ তোলেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। জানা গিয়েছে, কাবেরি হোস্টেলের মেনুতে ভেজ এবং নন-ভেজ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে রবিবার নন-ভেজ খাবার তৈরি ও খাওয়া বন্ধ ꦦক🐻রে দেয় এবিভিপি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে এবিভিপি কর্মী ও বামপন্থী ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) মনোজ সি জানিয়েছেন, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ছয় জন জখম হয়েছে। বামপন্থী সংগঠন আইসা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো আপলোড করে দাবি করেছে যে বামপন্থী পড়ুয়াদের মাথা ফেট🅷ে গিয়েছে। এদিকে এবিভিপির তরফে জখম পড়ুয়াদের ভিডিয়ো পোস্ট করে। ঘটনায় টুইট করে ডানপন্থী সংগঠনকে তোপ দাগে এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ। তিনি সংঘর্ষের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘এবিভিপি আবার এই একই কাজ করল। প্রথমত, তারা কাবেরি হোস্টেলে সকলের উপর আমিষের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার চেষ্টা করেছিল। তারপর যখন সাধারণ ছাত্ররা #FoodFascism-এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তখন সাংঘী গুন্ডারা সর্বাত্মক সহিংসতার আশ্রয় নেয়। শিক্ষার্থীরা গুরুতর ভাবে জখম হয়েছে।’