পরাজিত হয়েছেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান রাজনীতিবিদ ঋষি সুনাকের দল। তবে ভারতের কিন্তু হতাশার কিছু নেই। অন্তত ২৬জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্র🎐ার্থী জয় পেয়েছেন এবার। তার মধ্যে অন্যতম হলেন লিজা নন্দী( Lisa Nandy) । তিনি লেবার পার্টির হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। ফের উইগান শহর থেকে জিতেছেন তিনি। তিনি পেয়েছেন ১৯,৪০১ ভোট। সেই ২০১০ সাল থেকে তিনি এখানে জিতছেন। অ্যান্ডি দোবার রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
লিজা নন্দীর বাবার নাম দীপক নন্দী। কলকাতায় জন্ম তাঁর। মার্ক্সীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ বলে পরিচিত তিনি। গোটা জীবন ধরে তিনি বর্ণবৈষম্য ও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে এসেছেন। সেই বাঙালি বাবার কন্যা জিতলেন ব্রিটেনে।
তবে শুধু লিজা নন, 𝓡নবেন্দু মিশ্রও জিতেছেন এবারের ভোটে। তাঁর মা গোরক্ষপুরের ও বাবা উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা।
লিজা নন্দী সম্পর্কে আগেও ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমে নানা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। দ্য গার্জিয়ান সংবাদপত্রে লেখা হয়েছিল লিজা হলেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান শিক্ষাবিদ দীপক নন্দীর কন্যা। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। পাবলিক র♛িলেশনস কনসালটান্ট অ্যান্ডি কলিসের সঙ্গে বিবাহ হয়েꦦছিল তাঁর।
এদিন সকালে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের আগেই কনজারভেটিভদের হয়ে হার মেনে নিয়েছিলেন ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নর্থ ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড এবং নর্থঅ্যালার্টন আসন থেকে নিজে জিতে সমর্থকদের উদ্দেশে ঋষি সুনক বলেন, 'এই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়ী হয়েছে।' এরপর তিনি বলেন, 'আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই হারের পুরো দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।' এই নির্বাচনী ফলাফলকে খুবই দুঃখজনক বলে আখ্যা দেন ঋষ😼ি। উল্লেখ্য, ভারতীয় সময়, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কিয়ের স্টা♏র্মারের দল লেবার পার্টি ৩০০-র বেশি আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে আছে। আর ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি জিতেছে বা এগিয়ে আছে মাত্র ৬০টি আসনে।
উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৯ সালের ৯ অগস্ট জন্মেছিলেন লিজা। ব্রিটেনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। ম্যাঞ্চেস্টারে জন্ম। পড়াশোনা শেষ করে নানা ধরনের সমাজসেবা করতেন তিনি। এর আগে তিনি লেবার পার্টির কাউন্সিলরও ছিলেন। তাঁর মামার বাড়ির দিকেও রাজনীতির চর্চা রয়েছে যথেষ্ট। তাঁর মামার বাড়ির দাদু ফ্র্যাঙ্ক বায়ার্স ছিলেন লিবারেল এমপি। ম্যাঞ্চস্টার আর বারিতেই তিনি বড় হয়েছেন। 🔥নানা ধরনের গবেষণামূলক ও সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।