প্রত্যাশা মতোই জ🐲্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দিলেন মধ্যপ্রদেশের ১৯ কংগ্রেস বিধায়ক। তাদের ইস্তফা মঞ্জুর হলেই মধ্যপ্রদেশে খাতায়-কলমে সংখ্যালঘু হয়ে যাবে কমলনাথের সরকার। সেই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোটে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে তিনি পারেন কিনা, সেটাই দেখার। এরপর আরও তিন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক এখন বিক্ষুব্ধ শিবিরে।
বর্তমানে ২৩০ বিধায়কের বিধানসভায় ১১৪ জন আছে কংগ্রেসের চার নির্দল, ২ বসপা ও একজন সপার বিধায়ককে নিয়ে সরকার চালান কমলনাথ। কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফার পরে কার্যত ক্ষমতা হারানোর মুখে তিনি। রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন হোলি উপলক্ষে বর্তমানে লখনউতে। তবে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করার বিষয়টি হয়তো স্পিকারের ওপর ছাড়বেন রাজ্যপাল। সপা ও বসপার বিধায়করাও বিজেপির সঙ্গে যোগ রেখে চলছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে স্পিকার এন পি প্রজাপতি বলেছেন যে তিনি বꦆিধানসভার প্রথা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন এই ইস্তফাগুলির ক্ষেত্রে।
ইঙ্গিত মিলেছিল সোমবার যে সংকট আসন্ন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের। আচমকা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেন কমলনাথ। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হল না। এদিন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার পরেই কংগ্রেস পার্টি থেকে নিজের ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তারপরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, এদিন সন্ধেবেলা আনুষ𒅌্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
অন্যদিকে ২২ বিধায়কের ইস্তফার পর মধ্যপ্রদেশের মুখ্ဣযমন্ত্রী কমলনাথ কি করেন, সেটাই দেখার। কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে😼 দিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।