মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের রণদামামা বাজতেই অজিত পাওয়ারের এনসিপির তরফে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা সামনে এসেছে। যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ৭ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ পয়েছে। এই ৭ প্রার্থীর মধ্যে নজর কেড়েছেন বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান, নবাব মালিকের কন্যা সানা ও পোর্শে কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়া সুনী🐈ল তিংড়ে।
দু'দিন আগে অজিত পাওয়ারের এনসিপি ঘোষণা করেছিল ৩৮ জন প্রার্থীর নাম। দ্বিতীয় তালিকায় তারা ঘোষণা করেছে ৭ জন প্রার্থীর নাম। তারই মাঝে সদ্য প্রয়াত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের নাম রয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য মুম্বইয়ের বুকে এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা হামলা করে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিতে নিহত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান দাঁড়াচ্ছেন বান্দ্রে পূর্ব কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে, এনসিপি নেতা নবাব মালিকের মেয়ে সানা দাঁড়াচ্ছেন অনুশক্তি নগর কেন্দ্র থেকে। সদ্য চলতি বছরেই কংগ্রেস ছেডে এনসিপির অজিত গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন সিদ্দিকি। তাঁর বিরুদ্ধে দলের বিরুদ্ধে ভোটদানের অভিযোগ ছিল। এছাড়াও অজিতের ‘জনসম্মান যাত্রা’য় তিনি অংশ নে꧋ন। সেই মাসেই তাঁকে কংগ্রেস থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, নবাব মালিক চেয়েছিলেন মেয়ে সানা যাত🐓ে অনুশক্তি নগর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান। এই কেন্দ্রে এককালে প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন নবাব নিজে। সেই কেন্দ্রেই মেয়েকে দাঁড় করানোর বিষয়ে পার্টির কাছে আবেদন জানান নবাব। নবাব মালিক নিজে মানখুর্দ শিবাজী নগর থেকে দাঁড়াতে চাইছেন। তাঁকে দাঁড় করানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপির। ফলে সেই জায়গা থেকে শরিকের কথা শুনে পিছিয়ে যেতে🍬 পারে এনসিপি। সেক্ষেত্রে নবাব মালিককে নির্দল হিসাবে সেখানে প্রার্থী হিসাবে দেখা যেতে পারে।
এপর্যন্ত অজিত পাওয়ারের এনসিপির ৪৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছেন পুনের পোর্শে কেসে নাম জড়ানো সুনীল তিংড়ে। তাঁকে শেরি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। যে পোর্শে কাণ্ডে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল, সেই ঘটনায় নাক গলানোর অভিযোগে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিংড়ে। এছাড়াও এনসিপিতে বিজেপি থেকে আসা সঞ্জয়কাকা পাতিলকে তাসগাওঁকাভাতে কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হচ্ছে অজিত♛ শিবিরের তরফে।