এবার থেকে আর মঙ্গলবার করে কাঁচা, মাছ মাংস বিক্রি করা হবে না! দরজায় নোটিস সেঁটে একথা জানিয়ে দিয়েছে গুরুগ্রামের এꦉকটি জনপ্রিয় আমিষ পণ্য বিক্রেতা সংস্থা (গ্রিন চিক চপ)। তাদের দাবি, গুরুগ্রাম পুরনিগমের😼 নির্দেশেই তারা এই পদক্ষেপ করেছে।
বিষয়টি নজরে আসতেই এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেত্রী তথা কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সংশ্লিষ্ট বিপণনীর ওই বিজ্ঞপ্তির ছবি পোস্ট করে তাঁর প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে গুরুগ্রাম পুরনিগ🌞ম এই পদক্ষেপ করেছে?
সেইসঙ্গে, মহুয়া দাবি করেছেন, এই ঘটনায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষ⛦েপ করার পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানকেওꦍ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
মহুয়া লিখেছেন এই বিজ্ঞপ্তি আদতে সংবিধানের ১৯ এবং ২১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে। এক্স♔ হ্যান্ডেলে মহুয়া মৈত্র এই পোস্টটি করেছেন রবিবার দুপুরে। মুহূর্তে তꦗা ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে।
মহু👍য়ার এই পোস্ট ইতিমধ্যেই ২৮ হাজ🐷ারেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। মন্তব্যও করেছেন অনেকে। লাইকের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১৯ ও ২১ নম্বর ধ𒆙ারায় প্রত্যেক ভারতীয়ের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। যা বলছে, ভারতের প্রত্যেক নাগরিকেরই নিজের বক্তব্য এবং মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা রয়েছে।
সেইসঙ্গে, প্রত্য🐻েক ভারতীয়ের নিজস্ব ব্যক্তিগত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। যা রক্ষা করতে এবং মেনে চলতে হবে। মহুয়ার স্পষ্ট বার্তা, সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে আমিষ পণ্য বিক্রি বন্ধ রাখার অর্থ হল ঘুরিয়ে নাগরিকের ব্যক্তিগত খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা।
মহুয়ার পোস্টে এ নিয়ে যাঁরা মন্তব্য করেছেন, তাঁদের অধিকাংশ এജই ধরনের নিয়মের বিরোধিতা করেছেন। কেউ যুক্তি-স▨হ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। কেউ আবার এই পদক্ষেপ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন।
এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'ভারতের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষই আমিষ খাবার 🌼খান। কিন্তু, ১০ শতাংশ🦩 মানুষ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নিজেদের শাসন কায়েম করতে চাইছেন।...'
আরও একজনের ছোট্ট কিন্তু ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য হল, 'এক দেশ, এক খাবার!' এই মন্তব্যে স্পষ্টতই বিজেপির 'ওয়ান ꩵনেশন...' নীতিকে কটাক্ষ করেছেন ওই ব্যক্তি।
অপর এক ব্যক্তি আবার যথেষ্ট যুক্তি সহকারে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমি হিন্দু, আমি মঙ্গলবার আমিষ খাই না। তা সত্ত্বেও আমি এই যুক্তি মানতে পারছি না। মঙ্গলবার আমি আরও অনেক কিছু করি না, যেমন - মদ্যপান। তাহলে সব মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হোক। আমি সোম থেকে শুক্র কোনও ক্লাবে যাই না। তাহলে ওগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হোক। এবং যৌন পল্লিগুলিও বন্ধ করা হোক। কারণ, আমি সেখানেও কোন𒈔ও দিন যাইনি।'
আরও এক এক্ဣস ইউজার উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, 'বর্তমান রাজার সরকার এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অধীনে এই দেশ পিছনে হাঁটতে শুরু করেছে।'
কেউ কেউ আবার এই প্🐷রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট বিপণনী সংস্থা🍨 'গ্রিন চিক চপ'-এর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এক এক্স ব্যবহারকারীর কথায়, 'গ্রিন চিক চপ - এর জন্য এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটা সময়। গুরুগ্রামে যারা মাংস🅷 ও পোলট্রি বিক্রি করে, তাদের মধ্🐼যে এই সংস্থার পণ্য অন্যতম সেরা।...'