দেশে শব্দবাজি বাতিল। তবে প্রতিবছরই দিওয়ালির সময়তে শুরু হয় আইন অমান্য করে দেদার শব্দবাজির প্রয়োগ। আর এর জেরে সমস্যায় পড়েন অনেকে। এই নিয়ে বহু মামলা হয়েছে। পুলিশ সর্বত্রই কড়া পদক্ষেপ করে। তবে তাও পুরোপুরি বিষয়টিকে থামানো যায় না। আর এবছরও দিওয়ালি ঘনিয়ে আসতেই নয়ডা অঞ্চলে নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে শব্দবাজি ফাটানো। আর এর জেরে মহুয়া মৈত্রের উদ্ধার করা কুকুরের মৃত্যু ঘটেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি নয়ডা পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। কুকুরের মৃত্যুকে সরাসরি 'খুন' বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। (আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরের ঘটনাꦰয় আদৌ ধর্ষণ করা হয়েছিল 𝓰তরুণীকে? সামনে হাড়হিম করা তথ্য)
আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগর কাণ্ডে CCTV-তে ধরা পড়েছি꧅ল কি? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনে🧸 যোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের
রবিবার রাতে মহুয়া মৈত্র নয়ডা পুলিশ এবং নয়ডার পুলিশ কমিনারকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, অত্যধিক শব্দবাজি ফাটানোর কারণে হৃদোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর উদ্ধার করা একটি বাচ্চা কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে তিনি নিজের পোস্টে লেখেন, 'হেলো নয়ডা পুলিশ ও নয়ডার পুলিশ কমিশনার - আমার উদ্ধার করা এক বাচ্চা নয়ডার স্মার্ট স্যাংচুয়ারি নামক পুনর্বাসন কেন্দ্রে মারা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। অনবরত নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা খুন। আপনা কি শব্দবাজির ওপর সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যকর করতে পারবেন? এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।' (আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে বাংলার উপকূলে আছ𝓰ড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়, আগাম প্রস্তুতি সরকারের)
আরও পড়ুন: ৮ অগস্টের রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে কেউ দেখা করেছিল? CBI-এর ♎হ💯াতে নয়া ফুটেজ
জানা গিয়েছে, সম্প্রি মহুয়া একটি বাচ্চা কুকুরকে উদ্ধার করে নয়ডার স্মার্ট স্যাংচুয়ারিতে র💎েখেছিলেন। সেই কুকুরটির নাম 'গুড্ডু' রাখা হয়েছিল। সেই পুনর্বাসন কেন্দ্রের মালিক কাবেরী রানা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য দেন। তিনি লেখেন, 'পশুচিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে কুকুরটির মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হয়েছে। অনবরত শব্দবাজির আওয়াজেই গুড্ডু পাইপারভেন্টিলেশনে চলে যায়। সে লড়াই চালিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেনি। এখানে উদ্ধার হওয়া আরও যে কুকুর রয়েছে, তারা পালিয়ে পালিয়ে থাকছে এত আওয়াজের কারণে। তারা ভয়ে কাঁপছে। গুড্ডুর মতো পরিণতি তাদেরও যাতে না হয়, তার জন্যে অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাদের। পথকুকুররাও এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সমস্যা পড়েছে। আর এখন তো দিওয়ালি আসেইনি।'