গ্রেট ন♛িকোবার দ্বীপে বড় টাউনশিপ গড়ে তোলা এবং নগরোন্নয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। তবে এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেখানকার পরিবেশ। বাসস্থান হারাতে পারে দ্বীপের কচ্ছপ এবং মেগাপোডরা। তাছাড়া দ্বীপের প্রবালও ঝুঁকির সম্মুখীন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে꧟। হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে এই প্রকল্পের নীল নকশা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
গত মাসের ৫ এবং ৬ তারিখ কেন্দ্র পরিচালিত পরিবেশ ওয়েবসাইটে পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটির এক বৈঠকের আলোচনা আপলোড করা হয়েছে। সেখানে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ নে💖ওয়া হয়েছে। 'টার্ম অফ রেফারেন্স' অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেই বৈঠকে। একটি প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাꦕব মূল্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে 'টার্ম অফ রেফারেন্স'।
এদিকে বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটির বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এই প্রকল্প সংক্রান্ত। বৈঠকে বলা হয়, 'প্রকল্পের স্থান নির্ধাণ করা হয়েছে মূলত আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সুবিধার কথা মাথায় রেখে। তবে পরিবে🌟শগত দিক নিয়ে অত কিছু ভাবা হয়নি প্রকল্পের নীল নকশা তৈরির সময়। তবে এই দ্বীপের গ্যালাথিয়া উপসাগরে লেদারব্যাক টার্টলের মতো বেশ কয়েকটি বিরল প্রজাতির প্রাণী বাস করে।'
কমিটির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আইআইটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসেন টেকনোলজি, ন্যাশনাল সেন্টার ফর কোস্টাল রিসার্চ বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসেনোগ্রা𝓀ফির মতো সংস্থার দ্বারা এই প্রকল্পের পরিবেশগত ঝুঁকির মূল্যায়ন করিয়ে এগোনো উচিত। এছাড়া পরিবেশগত মূল্যায়নের জন্য জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করা হয় বৈঠক চলাকালীন।
প্রস্তাবিত টাউনশিপটি 💞১৪৯.৬০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে হওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রায় ১২১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বনভূমি হিসেবে চিহ্নিত। এই প্রকল্পে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিনꦕিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া সেখানে একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, আন্তর্জাতিক কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট টার্মিনাল এবং বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কথা। এর মধ্যে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য সেকানকার বসবাসরত মানুষদের স্থানান্তরিত করতে হবে। এছাড়া নগরোন্নয়নের বাকি প্রকল্পগুলি এমন স্থানে করা হবে যেখানে নিকোবারের স্থানীয় মানুষের বসাবস কম। তবে তা সত্ত্বেও পরিবেশগত ভাবে এই প্রকল্প সেখানকার প্রকৃতির অনেকটা ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।