গত বুধবার, সেদিন ছিল বড়দিন। স🐷েই আবহেই নয়াদিল্লিতে সংসদের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক যুবক। পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, তাঁর নাম জিতেন্দ্র কুমার।
সূত্রের দাবি, সেই ঘটনায় তাঁর শরীরের অন্তত ৯০ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছে! বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ🐠্জা লড়ছেন তিনি। কিন্🔜তু, কেন হঠাৎ এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাতে গেলেন তিনি? অবশেষে সেই বিষয়ে কিছু তথ্য সামনে এসেছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্য🍎ম সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বাগপতের বাসিন্দা ওই যুবক দিল্লি রওনা দেওয়ার আগ💧ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বলেছিলেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা রুজু করতে যাচ্ছেন। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলছে। সেগুলি থেকে তাঁকে যাতে অব্য়াহতি দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদ🧸ন অনুসারে, ওই যুবকের বাবার নাম মহীপাল। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে জিতেন্দ্র তাঁর মায়ের কাছে ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন। সেই সময়েই তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানান যে দিল্লিಞ যাচ্ছেন।
মহীপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ও আগেও বহুবার দিল্লি গিয়েছ🗹ে। যখনই দিল্লি যেত, সাধারণত বিকেলের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসত। তাই আমরা কিছুই সন্দেহ বা আশঙ্কা করিনি।'
মহীপালের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আরও জানা গিয়েছে, জিতেন্দ্র একজন কমার্স গ্র্যাজুয়েট। এবং তারপর তিনি আইন নিয়💃ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলায় জিতেন্দ্র পড়াশোনা ছাড়তে ব﷽াধ্য হন এবং শ্রমিকের কাজে যোগ দেন।
মহীপাল বলেন, 'আমার ছেলে এই মামলাগুলো নিয়ে খুব অশান্তিতে🤡 ছিল। পুলিꦓশের তদন্তের কারণে ও হতাশ হয়ে পড়েছিল।'
মহীপাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যে গ্রামে থাকেন, ত🍌ার নাম - পাত্তি ধনধন চাপরৌলি। বুধবার বিকেলে তাঁদের কাছে খবর যায় যে সংসদের সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জিতেন😼্দ্র। এরপরই পরিবারের সদস্যরা দিল্লি রওনা দেন।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, জিতেন্দ্র সত্যিই আইনি সহা🎉য়তা পাওয়ার আশাতেই দিল্লি ছুটে এসেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে একটি পোড়া ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে সংশ্লিষ্ট তিনটি মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র ছিল।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জিতেন্দ্র বিরুদ্ধে তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরেই মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনাগুলি যথাক্রমে ২০২১ সালে ম♉ে, ২০২২ সালের এপ্রিল এবং ২০২৪ সালের মে মাসে ঘটেছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মামলাগুলি আদতে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের। সেই ঘটনাগুলিতে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পඣেশ করা হয়েছিল।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, আইনি সহায়তা চাইতে এলেও, জিতেন্দ্র সম্ভবত নিজেকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কারণ, তিনি নিজের গায়ে যে প🐽েট্রল ঢ🌞েলেছিলেন, তা নিজের বাড়ি থেকেই এনেছিলেন।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট🤡 আধিকারিক জানান, জিতেন্দ্রর একটি বাইক রয়েছে। সেই সওয়ারি থেকে𒆙ই পেট্রল বের করেছিলেন তিনি। তারপর সেই পেট্রল নিয়েই দিল্লি পৌঁছন।
জিতেন্দ্রর কাছ থে☂কে ট্রেনের সাধারণ কামরা ꦗটিকিটও পাওয়া গিয়েছে। ১৫ টাকার ওই টিকিটটি কাটা হয়েছিল বারাউত থেকে শাহদারা আসার জন্য।
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ দিল্লি পৌঁছন তিনি।✤ সংসদের সামনে গায়ে আগুন দেন বিকেল সাড়ে তিনটে๊ নাগাদ।
পুলিশের ওই আধিকারিক বলেন, ওই যুবক 'ফুটপাথে বসেছিলেন। তারপর নিজের ব্যাগ থেকে তিনি একᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚটি বোতল বের করেন। তাতে থাকা পেট্রল নিজের গায়ে ঢালেন এবং নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন!'