বিবাহিত এবং অবিবাহিত দম্পতির মধ্যে একটি গুণগত পার্থক্য রয়েছে। বিয়ের পরে, প্রতিটি পক্ষের একটি প্রত্যাশা বা এমনকি বিবাহিত সম্পর্কের আইনি অধিকার রয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষ🃏ণ করেছে।
বিচারপতি সি হরি শঙ্কর বলেন, এটি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ (ধর্ষণ) ধারার অধীনে প্রদত্ত ব্যতিক্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ব্যতিক্রমকে চ্যালেঞ্জ করে এবং বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধীকরণের দাবি ক♛রে প꧙িটিশন করা হয়। তারই শুনানি দেয় বিচারপতি রাজীব শাকধরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
বিচারপতি শঙ্কর পর্যবেক্ষণ করেন, বৈবাহিক ধর্ষণের যে শাস্তি হওয়া উচিত তা অস্বীকার করার কিছু নেই। আদালতের সমস্যার বিষয়টি হল, ꧒৩৭৫ ধারায় দেওয়া ব্যতিক্রমটি অসাংবিধানিক কিনা তা নির্ধারণ করা।
তিনি বলেছিলেন যে এখনও🃏 পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের আইনি অবস্থান নিয়ে প্রচুর যুক্তি তৈরি করা হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে ভারতের নিজস্ব নজির,♍ নীতি এবং সংবিধান রয়েছে। ফলে এই মামলায় বিদেশি নজিরের কোনও প্রভাব পড়বে না।
বেঞ্চ বলে, 'যে পদ্ধতিতে ধর্ষণকে ৩৭৫-এ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা একটি কারণ হতে পারে। ৩৭৫ ধারা ধর্ষণকে অত্যন্ত ব্যাপকভাবে সংজ্ঞায়িত করে। এটি বলে যে বিপরীত পক্ষের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্কের একটি উদাহরণও তাকে ধর্ষণ বলার জন্য যথেষ্ট। এবার একটা পরিস্থিতি অনুমান করা যাক। এᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। স্বামী দাম্পত্য সম্পর্ক করতে চায়। বউ না বলে। স্বামী বললেন তুমি অনুমতি না দিলে আমি বেরিয়ে যাব। কাল সকালে দেখা হবে। তারপর বউ বলেন হ্যাঁ। আমরা যদি ব্যতিক্রমটি বাদ দিতে চাই তবে এটি ধর্ষণ।'
তিনি যোগ করেন, আবেদনকারীদের উত্থাপিত এই যুক্তির সঙ্গে তিনি একমত নন, যে বিবাহিত এবং অবিবাহিত দম্পতির মধ্যে কোনও বোধগম্য পার্থক্য নেই। অবিবাহিত দম্পতিদের𝔍 মধ্যে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে, তিনি পর্য🧸বেক্ষণ করেছেন:
'যদি একটি ছেলে এবং মেয়ে বিবাহিত না হয়, তাঁদের সম্পর্ক যতই ঘনিষ্ঠ হোক না কেন, একে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, লিভ-ইন বা অন্য যা কিছুই বলুন, তাঁদের কারোরই অন্যের সঙ্গে যৌন মিলনের আশা করার কোনও অধিকার নেই। একেবারেই কোনও অধিকার নেই। আইন এমন কোনও অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না। অতএব, প্রতিটি পক্ষেরই নিরঙ্কুশ অধিকার রয়েছে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে না করার। কোনও পক্ষেরই এই আশা করার কোনো অধিকার নেই যে তিনি অন্য পক্ষের সঙ্গে ꦜযৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য স্বীকৃত।'