আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যম🦂ন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানী দিল্লির ত﷽খতে থাকা কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন তাঁর সমর্থকরা। এদিকে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের হাতে গতরাতেই গ্রেফতার হয়েছেন কেজরিওয়াল। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথমবার মুখ খুললেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা। আর আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কেজরিওয়ালের এই গ্রেফতারি নিয়ে স্ত্রী সুনীতা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে।
সুনীতা কেজরিওয়াল এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, ‘আপনাদের তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে মোদীজি গ্রেফতার করিয়েছেন তাঁর ক্ষমতার অহংকারের কারণে আর তিনি সকলকে পিষে দিতে চান।’ একধাপ এগিয়ে সুনীতা কেজরিওয়াল বলেন,'এটি দিল্লির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।' উল্লেখ্য, এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্ꦆলির মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর গ্রেফতারি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলেই থাকুন বা বাইরে, তিনি দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ, জনতা সেটা জানে।’
উল্লেখ্য, দিল্ল🥀ির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির খবর পৌঁছতেই শুক্রবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এই গ্রেফতারির চরম বিরোধিতা করে প্রশ্ন তোলেন, ‘বেছে বেছে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে ইডি,সিবিআই দিয়ে? ’ তৃণমূলের প্রশ্ন নির্বাচনী আচরণবিধি লাগুর মাঝে কীভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায়? এদিকে, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর বাংলার বুকে আম আদমি পার্টির সদস্যরা একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখান।
এদিকে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ৬ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লির রউস খাস কোর্টের তরফে। এদিন সেই রায় কোর্ট দিতেই কেজরিওয়ালকে দিল্লি সরকারের ব্যাটন কার হাতে থাকবে, তা জিজ্ঞাসা করেন সাংবাদিকরা। কেজরিওয়াল সাফ জানি𒅌য়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না। তিনি জানান, প্রয়োজনে জেল থেকে তিনি সরকার চালাবেন। আপাতত ২৮ ✃মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কেজরিওয়ালকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। যদিও ১০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল ইডি। তবে দিল্লির রউস খাস কোর্ট ৬ দিনের হেফাজত দিয়েছে।