অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পেয়েছেন গতকাল। ২০ জুলাই পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে নথিভুক্ত কোনও মামলায় জুবায়েরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে গতকাল জানায় শীর্ষ আদালত। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার জুবায়েরের হেফাজতে রিমান্ড পেতে পারেনি হাতরাস পুলিশ। সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশ তাকে কড়া নিরাপত্তায় তিহার জেলে নিয💎়ে যায়। ২১ জুলাই জুবায়েরকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য সিজেএম আদালতে শুনানি হবে।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার বেঞ্চ বলে, ‘সব এফআইআরগুলির বিষয়বস্তু একই রকম বলে মনে হচ্ছে। এক মামলায় জামিন পেলেই অন্য একটি মামলা হচ্ছে বা অন্য মামলায় তাঁকে রিমান্ডে পাঠানো হচ্ছে। এই দুষ্ট চক্র চলতেই থাকছে। তাই আমরা এই 💙প্রতিরক্ষামূলক আদেশ পাস করছি।’ উল্লেখ্য, জুবায়েরের বিরুদ্ধে বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে ছ’টি এফআইআর করা হয়েছে। সীতাপুর, হাতরাস, লখিমপুরের এফআইআর-এৎ ভিত্তিতে জুবায়েরকে গ্র⛄েফতার করা হয়েছ। আরও তিনটি এফআইআর-এ জুবায়েরকে গ্রেফতার করা হয়নি এখনও। তবে সুপ্রিম নির্দেশিকার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নতুন কোনও মামলায় জুবায়েরকে গ্রেফতার করতে পারবে না বা অন্য মামলায় রিমান্ডে নিতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একটি টুইটের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করে গত সোমবার। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের টুইটে জুবায়ের লিখেছিলেন, ‘২০১৪ সালের আগে: হানিমুন হোটেল, ২০১৪ সালের পর হনুমান হোটেল।’ এই টুইটের প্রেক্ষিতে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ, হনুমানজি যেহেতু ব্রহ্মচারী, তাঁর ꦅসঙ্গে হানিমুন যুক্ত করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনেও মামলা হয়েছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তাছাড়া জুবায়েরের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভি♊ন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কাজ) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।