অসম সরকার বৃ꧒হস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব চেয়ার স্🔥থাপনের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
গুয়াহাটির জনতা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উপস্থিতিতে অসম সরকারের উচ্চশিক্ষা সচিব মধুসুদন নাথ এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজি🅺স্ট্রার অশোক কুমার মাহাতো এই সমঝোতা স্মারকে স༒্বাক্ষর করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে যে অসম ও ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব এবং তাঁর ভক্তি আন্দোলনের অধ্যয়ন ও গবেষণার প্র꧅চারের লক্ষ্যে শ্রীমন্ত শঙ🎃্করদেবের নামে একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের ভক্তি আন্দোলনের অধ্যয়ন ও গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিতে অসম সরকারের সাথে অংশীদার হওয়ার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েꦑর উপাচার্য এবং অন্যান্য ভ্রাতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান।
'মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবে🅘র শিক্ষা বহু শতাব্দী ধরে অমসকে আলোকিত করেছে এবং পৃথক বর্ণের পরিচয় সরিয়ে সনাতন ধর্মকে একত্রিত করেছে। এই স𒊎মঝোতা স্মারক গুরুজনের শিক্ষা ও দর্শন এবং ভারতীয় সমাজে তাঁর অবদান অধ্যয়ন ও গবেষণা করার সুযোগটি কাজে লাগাতে একাডেমিক ভ্রাতৃত্বকে সহায়তা করবে।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেনꦗ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চেয়ার ভক্তি আন্দোলন নিয়ে ডক্টরেট এবং পোস্ট-ডক্টরেট গবেষণাকে উৎসাহিত করবে।
তিনি সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের চেতনার সাথে জড়িত শঙ্করদেবের শিক্ষার নৈতꦰিকতা বিশ্বকে দেওয়ার অসমের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অসমের মুখ্য়মন্তܫ্রী আরও বলেছিলেন যে পঞ্চদশ এবং ষোড়শ শতাব্দীর সময়কালে, শঙ্করদেবই একমাত্র পণ্ডিত ছিলেন যিনি জনগণকে ঐক্যের সারাংশ শিখিয়েছিলেন এবং জাতপাত ও ধর্মের সংকীর্ণ বিবেচনার উপরে ꦉউঠেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে অসমের সমাজ পরবর্তীকালে এমন রূপ নিয়েছে যা সত্যই মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের দর্শনের আদর্শকে প্রতিফলিত করে।
এদিকে সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসাবে চেয়ার প্রতিষ্ঠ﷽ার জন্য অসম সরকার এককালীন পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দেবে।
তিনি বলেন, ব♒িশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশের আরও দুটি বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব চেয়ার স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. রনোজ পেগু, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল, গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্💟য অধ্যাপক ননী গোপাল মহন্ত, পদাধিকার শ্রীমন্ত শঙ্কর সংঘ ভবেন্দ্রনাথ ডেকা, উপাচার্য ভট্টদেব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনপতি ডেকা, উপাচার্য বীরাঙ্গনা সতী সাধিনী রাইজিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জি সিংগাইয়া, কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র ডেকা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। (এএনআই)