মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের পর এবার দেশজুড়ে ইভিএম বা ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-এর কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিল মহা বিকাশ আঘাডꦫ়ি বা এমভিএ। কারণ, তাদের মতে, ইভিএম সংক্রান্ত কারচুপির কারণেই তাদের এভাবে পরাজিত হতে হয়েছে।
🦄সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অౠনুসারে, আগামী দিনে যাতে ফের ইভিএম-এর বদলে ব্যালটে ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করা হয়, সেই দাবি সামনে রেখে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে মহা বিকাশ আঘাড়ি নেতৃত্ব।
♛বুধবার জোটের পরাজিত প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এমভিএ নেতা উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ার। সেই বৈঠকেই জোটের তরফে রাজ্য ও জাতীয়স্তরে আইনি দল বা লিগ্যাল টিম গঠন করে দেওয়া হয়।
মোদী জমানায় ই🌃ভিএম-এ কারচুপি নিয়ে বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই সরব, এবার সেই ইস্যুতে আইন অনুসারে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি সারতে কাজ করবে এমভিএ-র সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল টিমগুলি।
এবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে মোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি শিবির ২৩৫টিতেই জয়লাভ করেছে। যার মধ্যে বিজেপি একাই জিতেছে ১৩২টি আসনে। অন্যদিকে - এমভিএ শিবির মাত্র ৪৯টি কেন্দ্রে জিততে সক্ষম হয়েছে। তার🐲া মনে করছে, মহাযুতির স্বপক্ষে এই মহারাষ্ট্রের এই জনমত বিকৃত এবং তা ইভিএম﷽-এর কারসাজি!
এবারের নির্বাচনে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি প্রার্থীরা মোট ৮৬টি আসনে লড়লেও মাত্র ১০টি আসনে জিততে পেরেছেন। শরদ পাওয়ার তাঁর দলের পরাজিত প্রার্থীদের 🍷আবেদন করেছেন, তাঁরা যাতে সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে ইভিএম-ভিভিপ্যাট বিশ্লেষণে ও তথ্য যাচাইয়ের দাবি তোলেন। এদিনের এই বৈঠকে শরদের নাতি (ভাইপোর ছেলে) রোহিত পাওয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
এমভিএ-র অন্যতম শরিক জাতীয় কংগ্রেসকে মহারাষ্ট্রের ভোটের আগে হরিয়ানার ভোটেও পরাজিত হতে হয়। গতমাসের সেই ঘটনার পরও কংগ্রেসের তরফে ইভিএম নিয়ে কিছু অসন্তোষ সামনে🅺 এসেছিল।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার কংগ্রেস🐻 সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ভারতীয় নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় আমেরিকার মতোই ব্যালটে ভোট ফিরিয়ে আনার দাবি তো🦂লেন।
এদিকে, দল তথা জোটের নির্বাচনী ভরাডুবির পরই, সেই হারের দায় নিয়ে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকꦡে ইস্তফা দিয়েছেন নানা পাটোলে। তিনিও একইভাবে ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ব্যালটে ভোট প্রক্রিয়া ফেরানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কℱোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু, গত এপ্রিল মাসে শীর্ষ আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়।
এক্ষেত্রে আদালতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল - য🍌খন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ভোটে জেতে, তখন তো ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুলে কোনও শোরগোল হয় না!
ꦦএকই যুক্তি সামনে রেখে এমভিএ-র ইভিএম নিয়ে তোলা অভিযোগকে পালটা কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তাঁর বক্তব্য, ঝ💃াড়খণ্ডে তো কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জয়ী হয়েছে। তাহলে কি সেখানেও ইভিএম কারচুপি করা হয়েছে?