গত সপ্তাহে নাগপুরে ঔরঙ্গজেব ইস্যুতে ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসা। এতে এক ডজন পুলিশ সদস্য ও সমসংখ্যক সাধারণ মানুষ আহত হয়েছিলেন। সেই হিংসার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিপুল সংখ্যক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছি। পুলিশ বলছে, এই সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড ছিল ফাহিম খান নামে এক ব্যক্তি। সেই ফাহিমের বাড়ি আজ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে বুলডোজার নিয়ে ফহিম খানের বাড়িতে পৌঁছয় নাগপুর পুরসভার দল। এ সময় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়। ফাহিম খান পেশায় বোরকা বিক্রেতা। নাগপুর হিংসার সময় এই ফাহিম বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সব উস্কানির জেরে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এর জেরে নাগপুর শহরে হট্টগোল আরও ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আবহে ফাহিম খানকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছিল পুলিশ। (আরও পড়ুন: একনাথকে নিয়ে রসিকতা ꦯকুণাল ক🐠ামরার, হোটেলে তাণ্ডব শিবসেনার, কী এমন বলেন কমেডিয়ান?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই, ষষ্ঠ শ্রেণির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণ ক🍷❀রে খুন হোস্টেলে
জানা গিয়েছে, ফাহিম খান-সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। ফাহিম খান মাইনরিটি ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে একটি দলের নগরপ্রধান ছিলেন। তিনি বহুবার পুলিশ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যও করেছেন। তিনি 'হিন্দু পুলিশ'-এর মতো মন্তব্য করে বিদ্বেষ ছড়িয়েছিলেন। এহেন ফাহিম খানের বাড়ির যে অংশ অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়েছিল, তা ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া অন্য অংশে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর নাগপুরের মহল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, হিংসা কবলিত এলাকা থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দূরে আরএসএসের কার্যালয় অবস্থিত। (আরও পড়ুন: পরকীয়ার স൩ন্দেহে স্ত্রীকে গুলি, ৩ সন্তানকে খুন, গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের BJP কর্মী)
আরও পড়ুন: কাঠুয়ায় এনকাউন্টারে জখম নাবালিকা, পুঞ্চে বড়সড় হামলার ছ🔯ক বানচাল করল সেনা
উল্লেখ্য, নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কয়েকদিন আগেই ফাহিম খানের পরিবারকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল। এতে পুরসভার তরফ থেকে জানাতে চাওয়া হয়েছিল, কীভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করে তাঁর বাড়ি তৈরি করা হল। বাড়িটি তৈরির আগে কর্তৃপক্ষের দ্বারা মানচিত্রটিও পাস করা হয়নি বলে অভিযোগ। নাগপুরের যশোধরা নগরের সঞ্জয় বাগ কলোনিতে রয়েছে ফাহিম খানের এই বাড়ি। ফাহিম খান এখনও কারাগারে আছেন এবং প্রশাসন তার বাড়ির একটা অংশ আজ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল। (আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি স্টেশনে 'প্রচণ𝓡্ড ভিড়', কুম্ভকালে পদ♔পিষ্টের দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙল রেলের)
প্রসঙ্গত, এই ফাহিম খানকেই ১৭ মার্চ সংঘটিত সহিংসতার মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিক্ষোভ চলাকাল🉐ে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল। এলাকার স্থানীয় মুসলিমদের অনেকে সেই বিক্ষোভ সমাবেশের সামনে চলে এসেছিলেন সেদিন। একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিক্ষোভ চলাকালীন একটি কাপড় পোড়ানো হয়েছিল, যেখানে কুরআনের আয়াত লেখা ছিল। এই গুজবের কারণে ঔরঙ্গজেব বিরোধী সমাবেশের ওপর হামলা হয়েছিল।