দেশের নারী শক্তি নিয়ে সবসময়ই জ♕োর গলায় বার্তা দিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটের প্রচারে হোক কি সরকারি প্রকল্পে, মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন মোদী। এই আবহে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের নিম্নবিত্ত মহিলাদের মন জয় করতে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদী বলেন, 'আমার স্বপ্ন, দেশের গ্রামে গ্রামে ২ কোটি দিদি লাখপতি হবেন।' এর জন্য একটি প্রকল্পের পরিকল্পনার কথাও জানান নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রমীণ অঞ্চলে মহিলাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বদল আসবে।
মোদী আজ বলেন, 'দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মহিলারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ঘটছে। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, অসামরিক বিমান চলাচলে ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক পাইলট রয়েছে। মহিলা বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান মিশনে নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। জি ২০ দেশগুলিও গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে।' এরপর গ্রামের মহিলাদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মোদী বলেন, 'ড্রোন চালানো এবং মেরামতির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মহিলাদেরকে।' প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেখানেই মহিলাদের কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের আরও আত্মনির্ভর করে তোলা হবে। আজ মোদী বলেন, 'কোটি কোটি হাত যদি কোটি কোটি স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ শুরু করে, তাহলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছব। আমরা ১ হাজারꦚ বছর গোলামি সহ্য করেছি। তবে আগামী এক হাজার বছরের জন্য ভারতকে সমৃদ্ধ করতে হবে। হারানো সেই সমৃদ্ধিকে ফিরে পেতে হবে। আমরা যাই করব, তা আগামী এক হাজার বছরের জন্য দেশের ভাগ্য লিখবে।'
মোদীর কথায়, 'আমি দেশের যুব সমাজকে বলতে চাই, এই দেশ আপনাদের আকাশপ্রমাণ সুযোগ দেবে। সুযোগের কোনও অভাব ভারতে হবে না। করোনার পর বিশ্বে নয়া গ্লোবাল অর্ডার তৈরি হয়েছে। ভারত গ্লোবাল সাউথের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বল এখন আমাদের কোর্টে। এখন এই সুযোগ আমাদের ছাড়লে হবে না।' এদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে মোদী বলেন, 'বিশ্বের সꦉ্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ভারত তৃতীয় স্থানে। বর্তমান বিশ্ব প্র🉐যুক্তি নির্ভর। ভারত সেই ক্ষেত্রে অগ্রগতি করবে। কয়েকদিন আগে আমি জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালি গিয়েছিলাম। সেখানে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, কীভাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সফল হল। আমি তাদের বলেছি, দেশের ছোট ছোট শহরের যুব সমাজও এগিয়ে এসেছেন। তাই আশা আর আকাঙ্খা এবং প্রচেষ্টার দৌলতে তারা এগিয়ে গিয়েছে।'