গতবছর রাজস্থানের উদয়পুরে দরজির মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনায় হতবাক হয়েছিল গোটা দেশ। সেই ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিয়েই আজ রাজস্থানের চিত্তোরগড়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, গতবছর পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল। সেই কানহাইয়াকেই খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে আজ মোদী বলেন, 'উদয়পুরে যা ঘটল তা কেউ কল্পনাও করেনি... মানুষ জামাকাপড় সেলাই করার অজুহাতে এসে দরজির গলা কেটে দেয়। কোনও ভয় নেই তাদের মধ্যে... এই ক্ষেত্রেও কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক দেখেছিল। আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, উদয়পুর দরজি হত্যার সময় কংগ্রেস দল কী করেছিল? তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছিল...' (আরও পড়ুন: মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে তুলনা মোদীর, বিতর্কিত মন্তব্য শিক্ষকের, ꦦভাইরাল ভিডিয়ো)
উল্লেখ্য, পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্যে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া লাল নামের এক দরজি। এরপরই তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দুই আততায়ী। ঘটনার ভিডিয়ো তুলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা। ওই দুই আততায়ীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করে, এই হত্যা 'ইসলামের অবমাননার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য' এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের হুমকি দিয়েছে তারা। নূপুর শর্মার মুণ্ডচ্ছ𓆏েদেরও হুমকি দেয় দুই হত্যাকারী।
আরও পড়ুন: পুꦬলিশের জিপ থেকে পালিয়ে গিয়েও ফের জালে ISIS জঙ্গি, নাম আছে NIA-এর 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায়
জানা যায়, গতবছর ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল রিয়াজ আটারি নাম✅ক এক কট্টরপন্থী। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে 🍌পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। পরে যেদিন প্রথম তিনি দোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ।
জানা যায়, ꦑকাপড় তৈরির বাহানায় দুপুরে কানাহাইয়া লালের দোকানে আসে রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ। সেই সময় একজন গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করছিল। অপরজনের পোশাকের মাপ নিচ্ছিলেন কানাহাইয়া লাল। তারপরই কানাহাইয়া লালের উপর হামলা চালায় কট্টরপন্থীরা। চিৎকার করে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাহাইয়া লালের গলা কেটে দেয় কট্টরবাদীরা। আর সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।