আমাদের সৌর জগতের পঞ্চম তথা বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির অন্যতম উপগ্রহ ইউরোপায় কি ♉সত্যিই প্রাণের স্পন্দন বা তেমন কোনও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা রয়েছে? এইরকম আরও হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আজই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসা-র মহাকাশযান।
এই অভিযানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, 'ইউরো🦄পা ক্লাইপার' মিশন। আজ, অর্থাৎ সোমবার (১৪ অক্টোবর, ২০২৪) ফ্লো😼রিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুরু হবে এই অভিযান। এই অভিযানে নাসা-র সঙ্গে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করছে স্পেসএক্স।
নাস🃏া-র পক্ষ 𓃲থেকেই ইতিমধ্যেই এই অভিযান শুরু করার কথা আগাম ঘোষণা করা হয়েছে তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে। তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আজ কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে একটি স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেট মহাকাশের উদ্দেশে তার দীর্ঘ যাত্রা শুরু করবে।
এই যাত্রায় সব মিলিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিতে হবে ১৮০ কোটি মাইল (২৯০ কোটি কিলোমিটার) পথ! যার জন্য সময় লাগবে সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি। উল্লেখ্য, এই মিশন এর আগেই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, ফ্লোরিডায় বিধ্বংসী হ্যারি🐷কেন মিল্টনের জেরে সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
ঠিক কখন শুরু হবে এই অভিযান?
ইস্টার্ন টাইম জো✱নের হিসাবে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেটের যাত্রা শুরু হবে সোমবার দুপুর ১২টা বেজে ০৬ মিনিটে। ভারতীয় সময় অনুসারে সেই যাত্রা শুরু হবে সোমবার, অর্থাৎ - আজ রাত ৯টা বেজে ৩৬ মিনিটে।
আপনিও কি এই অভিযানের সূচনা পর্বের সরাসরি সাক্ষী থাকতে পারবেন? কীভাবে?
রবিবার এই অভিযানের প্রিলঞ্চিং প্রক্রিয়া (অভিযান শুরুর আগের মুহূর্তের যাবতীয় জরুরি প্রস্তౠুতিসমূহ) সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। কিন্তু, অভিযান শুরু, অর্থাৎ লঞ্চিং প্রক্রিয়ার🌳 সরাসরি সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনিও।
ইস্টার্ন টাইম জোনের হিসাবে সেই🅰 সরাসরি🐬 সম্প্রচার শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। কিন্তু, ভারতীয় সময় অনুসারে, সেই সম্প্রচার দেখা যাবে আজ রাত ৮টা বেজে ৩০ মিনিট থেকে।
নাসা꧂র বিভিন্ন ভার্চুয়া🃏ল প্ল্যাটফর্ম, যেমন - ইউটিউব, নাসাপ্লাস এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়া চ্যানেলে এই সম্প্রচার দেখা যাবে।
কীসের টানে ইউরোপায় যাচ্ছে নাসা-র মহাকাশযান?
আগেই বলেছি, ব☂ৃহস্পতির এই 'চাঁদে' প্রাণের সন্ধানে খোঁজ চালানো হবে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর পর ইউরোপাই হল আমাদের সৌর জগতের সেই স্থান, যেখানে প্রাণের স্পন্দন থাকার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ইউꦦরোপার বরফে ঢাকা বহির্ভাগের নীচে রয়েছে এক বিশাল, বি♕রাট সমুদ্র। তাতে যে পরিমাণ জল রয়েছে, তা পৃথিবীর মোট সামুদ্রিক জলভাগের অন্তত দ্বিগুণ!
এই অভিযানের মাধ্যমে প্রথমবার ইউরো🐼পা সম্পর্কে বিশদে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ পেতে চলেছে নাসা। এই কাজে নাসা-কে সহযোগিতা করবে ইউরোপা ক্লিপার মিশনে ব্যবহৃত ন'টি যন্ত্র এবং একটি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সংক্রান্ত পরীক্ষা।
এই অভিযানে মোট ৪৯ বার ইউরোপার একেবারে গা ঘেঁষে উড়ে যাবে নাসা-পাঠানো মহাকাশ যান। সেইসঙ্গে, বৃহস্পতির ꧋এই উপগ্রহের অসংখ্য হাই-রেজেলিউশনের ছবি তুলবে সে। ইউরোপার বরফে ঢাকা ভূভাগের ম꧅ানচিত্র নির্মাণ করবে। এবং সবথেকে বড় কথা হল, এই উপগ্রহ বসবাস করার জন্য কতটা উপযোগী, তা খতিয়ে দেখবে।