সরকার গঠনের জায়গায় নেই কে পি শর্মা ওলি বা বিরোধী জোট। সেজন্য শনিবার সংসদ (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ) ভেঙে দিলেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্ಞযাদেবী ভাণ্ডারী। সেইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, আগামী ১২ এবং ১৯ নভেম্বর ভোট হবে।
জরুরি ভিত্তিতে মধ্যরাতের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন ওলি। তারপরই তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়, সংবিধানের ৭৬ (৭) ধারা প্রয়োগ করে সংসদ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তবে ওলির আমলে এই প্রথম সংসদ ভেঙে দিলেন না বিদ্যাদেবী। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। পরে ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম ꦅকোর্টের নির্দেশে আবারও সংসদ পুনরায় কাজ শুরু করেছিল।
এমনিতে নিজেদের দল ছেড়ে অন্য দলকে সমর্থনের জন্য হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের চারজন সদস্যকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে সরকার গঠনের জন্য ২৭৫ সদস্য-বিশিষ্ট সংসদে কমপক্ষে ১৩৬ জনের সমর্থন প্রয়োজন। নেপালের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, তাৎপর্যপূর্ণভাবে কয়েকজন আইনপ্রণেতার নাম ওলি এবং দেউবা - উভয়েরই তালিকায় ছিল। ১৫৩ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন আছে বলে দাবি করেছিলেন ওলি। জানিয়েছিলেন, আরও এক আস্থাভোটে নামার জন্য তাঁর হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই। তাই নয়া সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করেছিলেন। অন্যদিকে, ১৪৯ জন আইনপ্রণেতার স্বাক্ষর দিয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে গিয়েছিলেন দেউবা। সেই তালিকায় ২৭ জন সিপিএন-ইউএমএল (কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল - ইউনিফায়েড মার্ক্সিট লেনিনিস্ট) আইনপ্রণেতার নাম ছিল। তারইমধ্যে মাধব নেপাল গোষ্ঠীর কয়েকজন আইনপ্রণেতা দাবি করেন, তাঁদের স্বাক্ষরের অপব্যবহার হচ্ছে। তাঁরা মোটেও দেউবাকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চান না।সেই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি জানি🐲য়েছিলেন, নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা বা ওলি - কাউকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে পারবেন না। কারণ তাঁরা সরকার গঠনের যে দাবি জানিয়েছিলেন, তা ‘উপযুক্ত’ নয়।
যদিও সংসদ ভেঙ𝐆ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে নেপালে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নেপালি কংগ্রেসের মুখপাত্র বিশ্বপ্রকাশ শর্মা বলেন, ‘মানুষ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মানুষ। এটাই কি মানুষকে উপহার?’ অপর এক নেতা বলেছেন, ‘এটা মধ্যরাতের ডাকাতি।’