ভারত-নেপালের মধ্যে যে নো ম্যানস ল্𒐪যান্ড, সেখানে পিলার নির্মাণ করেছে নেপালিরা। উত্তরাখণ্ডের চম্পাবত জেলার তানাকপুরের এই ঘটনায় চিন্তিত স্থানীয় প্রশাসন। তাদের মনে হয় যে এর পিছনে নেপালি প্রশাসনের উস্কানি আছে, নয়তো সাধারণ মানুষ এত সাহস পেত না।
গত বুধবার ন🌌িজেদের সীমান্ত থেকে ১০ মিটার এদিকে এসে কাঠের ও কনক্রিটের পিলার বসিয়ে দিয়ে গেছে নেপালিরা। এই নিয়ে নেপালের সীমান্ত রক্ষাকারী আর্মড পুলিশ ফোর্সের সঙ্গে আলোচনা করে সশস্ত্র সীমা বলের কর্তারা। তাঁরা আশ্বাস দেন পিলার সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা তো হয়নি উলটে সেখানে বেড়া দিচ্ছে নেপালিরা, জানিয়েছেন এসജএসবি-র এক আধিকারিক।
চম্পাবতের জেলাশাসক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে নেপালের কাঞ্চনপুর জেলার মুখ্𒊎য জেলা 💃অফিসারকে বার্তা দিয়েছেন। পুরো ঘটনার কথা নেপালে স্থিত ভারতীয় দূতাবাসকেও জানানো হয়েছে। সুরেন্দ্র নারায়ণ পাণ্ডে বলেন যে তিনি নেপালি অফিসারকে বলেছেন যে এটা কি হচ্ছে । এক্ষুণি সেখান থেকে পোস্ট সরিয়ে নিতে দাবি করেন তিনি।
পাণ্ডে জানিয়েছেন যে তার ফোনের পর কাজ হয়েছে। লাগোয়া নেপালের জেলার মুখ্য অফিসার ও পুলিশ সুপার জায়গাটি দেখে গিয়েছেন রবিবার। সোমবার নেপালের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর আসবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে এর মধ্যে রাজ্য সরকারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশ๊াসক।
তিনি বলেন♏ প্রশাসনিক স্তরে এটি মিটিয়ে ফেলতে হবে কারণ সাধারণ মানুষের🐽 মধ্যে হাতাহাতি হয়ে যেতে পারে কোনও হস্তক্ষেপ না করলে।
ভারতীয় সীমান্তে ২৩টি পিলার পুঁতেছে নেপালিরা। এরপর কিছু গাছপালাও পুঁতছে তারা, পুরো এলাকার ওপর মৌরসীপাট্টা জমা🌺নোর ওপর। এর নেপথ্যে অবশ্য নেপালের উচ্চ মহলের হাত দেখছেন স্থানীয় ভারতীয় প্রশাসকরা।
এসএসবি কর্তারা বলেন যে এই বেড়া বাঁধার টাকাও নেপাল প্রশাসনের থেকে পাচ্ছে ওখানকার নাগরিকরা। নেপালি সীমান্তরক্ষীদের সামনেই বেড়🐲া বাঁধার কাজ করছে স্থানীয়রা, যা থেকে এই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
অনেক স্থানীয় নেপালি মদ খেয়ে এসে𒐪ছিল ও ভারতীয়দের গালাগালি দিচ্ছিলো, ভারত বিরোধী স্লোগানও তুলছিল, যা নেপালি সীমান্তর꧂ক্ষীরা চুপচাপ দেখে গিয়েছে, সামলানোর চেষ্টা করেনি বলেই ভারতীয় শিবিরের দাবি।
নেপাল🐬ের তরফ থেকে জরিপে কোনও উৎসাহ না দেখানোয় ভারতীয় শিবিরের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকলেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। এরফলে সীমান্তে কিছু জায়গা নো ম্যানস ল্যান্ড হয়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। ভারত-নেপাল সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় এবার বিহার থেকে উত্তরাখণ্ড, সব স্থানেই গণ্ডগোল পাকাচ্ছে পড়শিরা।