সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রꦰী কে পি শর্মা ওলি। পাঁচ মাসে দ্বিতীয়বার ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্গঠনের নির্দেশ দিল নেপালের শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবাকে দ🌱ু'দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তারপর সোমবার প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র🎃 শুমশেরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ যে রায়দান করেছে, তাতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ৪৮ ঘণ্টার বেশি থাকতে পারবেন না ওলি। যিনি গত মে মাসে আস্থা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরপথে সংখ্যালঘু সরকার চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার দখলের লড়াইয়ের মধ্যে মে মাসে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে আস্থা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন ওলি। কিন্তু ঘুরপথে ক্ষমতা দখল করে রাখতে ২৭৫ সদস্যের হাউস অ🀅ফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপরই তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, সংবিধানের ৭৬ (৭) ধারা প্রয়োগ করে সংসদ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যে ঘটনাকে ‘মধ্যরাতের ডাকাতি’ বলে তোপ দেগেছিলেন বিরোধীরা। শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ৩০ টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানির মধ্যেই গত সপ্তাহে ভোটের দিনক্ষণও ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
তবে সংসদ পুনর্গঠনের নির্দেশ নেপালে নতুন কিছু নয়। গত ফেব্রুয়ারিতেই নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ হিস𓃲েবে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে সংসদ পুনর্গঠন করার নির্দেশ 🌟দেওয়া হয়েছিল। যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব গত ২০ ডিসেম্বর দিয়েছিলেন ওলি। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাতে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।