🐈 বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কি আবার মহাজোটে ফিরতে পারেন? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কারণ মকর সংক্রান্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা তথা পাটুলিপুত্রের সাংসদ মিসা ভারতী একটা বড় খবর দিয়েছেন। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই বছরই বিহারে বিধানসভার নির্বাচন। আর সেখানে যদি এনডিএ জোটে রফাসূত্র না হয় আসন নিয়ে তাহলে আবার মহাজোটে ফিরতে পারেন। ইন্ডিয়া জোট ছেড়েই এনডিএ জোটে সামিল হয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তখন তাঁকে অনেক বিরোধী নেতারাই ‘পল্টুরাম’ বলে তকমা দিয়েছিলেন।
𝓀বিহারে মহাজোটে এবার ফিরে আসতে পারেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মিসা ভারতী। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নীতীশ কুমারের বারবার এক জোট থেকে আর এক জোটে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সেটাকেই সামনে রেখে মিসা ভারতী এবার বলেন, ‘রাবরি দেবীর বাড়ির দরজা সবসময় খোলা নীতীশ কুমারের জন্য।’ তাহলে কি আবার নীতীশ কুমার মহাজোটে ফিরছেন? জবাব মিসার বক্তব্য, ‘রাজনীতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।’ সুতরাং একটা সম্ভাবনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপর তেজস্বী যাদবের সঙ্গে নীতীশ কুমারের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। সেটা এখন রাজনীতির ময়দানে দেখা যাচ্ছে না বিরোধী শিবিরে থাকার জন্য। আগে সেই সম্পর্ক বারবার দেখা গিয়েছে নানা সময়ে।
আরও পড়ুন: জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকা নিয়ে ধোঁয়াশা, বিমানের কী বক্তব্য?
নীতীশ কুমার এখন এনডিএ সরকারের কার্যত চালিকাশক্তি। কারণ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি লোকসভা নির্বাচনে। এনডিএ সরকার গড়ে ওঠে নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের উপর ভর করে। সেখানে নীতীশ কুমার কি আসবে আবার জোট ছেড়ে? এই বিষয়টি নিয়ে মিসা ভারতীর জবাব,ꦅ ‘এখন এসব নিয়ে বলাটা খুব আগে হয়ে যাবে। তবে বিধানসভা নির্বাচন তো আসছে। পবিত্র কাজকর্ম শুরু হয় খরমাসের পর।’ রাজনীতিতে যে কেউ চিরশত্রু নয় সে কথা আগেই বলে গিয়েছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এবার সেটাই যেন শোনা গেল লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যার গলায়।
এদিন মিসা ভারতী এসেছিলেন লালু–রাবরির বাড়িতে। সেখানে মকর সংক্রান্তির অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যোগ দিয়েই সাংবাদিকদের সামনে বড় খবর চাউর করে দিলেন। তাই তো মিসা ভারতীর কথায়,ಌ ‘নীতীশ কুমার আমাদের থেকে বড়, অভিভাবকের সমতুল্য। রাজনীতিতে কোনও বন্ধু অথবা শত্রু থাকে না। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শত্রুতা নেই। সেখানে কেন নীতীশ কুমার আমাদের শত্রু হতে যাবেন। প্রত্যেক বছর মকর সংক্রান্তির পর বিহারে রাজনৈতিক টালমাটাল দেখা দেয়। তাই অনেকে গুঞ্জন তৈরি করছেন।’