দুর্গাপুজোর ভাসান কেন্দ্র করে বিহারের মুঙ্গের শহরে জনতা বনাম পুলিশের গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন ১৮ বছরের তাজা তরুণ, জখম হলেন ৭♉ জন। সোমবার মাঝরাতের পরে শহরের দীনদয়াল চওকে দুই পক্ষের খণ্ডযুদ্ধ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভাসানের শোভাযাত্রায় অংশগ্🧸রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধ🍒ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটালেও লাভ হয়নি। এরপরেই ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালালে পালটা গুলির লড়ইয়ে মাতে দুষ্কৃতীরা।
দুর্গাপুজো ভাসান কমিটির সদস্য প্রকাশ ভগৎ হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানিয়েছেন, মুঙ্গের শহরে মোট ৫৩টি দুর্গাপুজো হয় এবং তার মধ্যে ১৫টি প্রতিমা কাঁধে চাপিয়ে বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। মধ্যরাত পেরিয়েও ডিজে-র তী🀅ব্র শব্দের সঙ্গে নাচতে নাচতে এগিয়ে চলে শোভাযাত্রা।
রাত ১১.৫০ নাগাদ কাঁধে প্রতিমা বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় চারজনকে পুলিশ মারধর করে। সেই খবর চাউর হয়♛ে যেতেই রাস্তার মাঝে প্রতিমা নামিয়ে রেখে পুলিশকর্মীদের শাস্তি দাবি করতে শুরু করেন পুজো উদ্যোক্তারা। সেই প্রতিবাদ ক্রমে উত্তেজনায় পর্যবসিত হলে পুলিশকে নিশানা করে ইট ছুড়তে শুরু করে প্রতিবাদ𒆙ীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠি চালায় পুলিশও। এ ছাড়া ভিড় সর⛦াতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল🌟 এবং শূন্যে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।
নিহতের আত্মীয় সাধনা কুমারে♛র দাবি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এসে মাথায় বিঁধলে ঘটনাস্থলেই মারা যান অনুরাগ কুমার।꧃
মুঙ্গের সদর হাসপাতালের ডেপুটি ꦕপুলিশ সুপার ডক্টর নিরঞ্জন জানিয়েছেন, গুলি বিঁধে আহত হয়েছেন আরও সাত জন। তাঁদের একজনের অবস্থা সংকটজনক। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন সংগ্রামপুর, কোতওয়ালি, কাশিম বাজার ও বᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাসুদেবপুর থানার এসএইচও।
রাত একটা পর্যন্ত খণ্ডযুদ্ধ চলে বলে জা👍না গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয় প্রশা🐻সন। এলাকায় নামে আধাসামরিক বাহিনী ও বিএমপি। কারফিউ জারি না হলেও এলাকা বেশ থমথমে হয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবারও সারাদিন মুঙ্গের শহর ও সংলগ্ন অঞ্চলজুড়ে টানটান উত্তেজনা রয়ে গিয়েছে। গভীর রাত থেকে ভোর তিনটে পর্যন্ত ঘটনাস্থলে শিবির গড়ে উপস্থিত থাকেন মুঙ্গেরের জেলাশাসক রাজেশ মীনা ও এ🥂স পি লিপি সিং।
মুঙ্গেরের এসপি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি𝐆 আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ।