সকালেই রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। বিকেলের দিকে একই পথে হেঁটে লোকসভার অধিবেশন বয়কট করল বিরোধী দলগুলি। তার জেরে বাদল অধিবেশন ঘিরেඣ চূড়ান্ত টানাপোড়েন শুরু হল।
মঙ্গলবার কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি প্রত্যাহারের দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদরা। যে বিলদুটি ইতিমধ্যে সংসদের পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে। সংসদের নিম্নকক্ষে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী দাবি কর𒈔েন, কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি কেন্দ্রকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয়ে গেলেও যেহেতু এখনও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অনুমোদন দেননিꦑ, তাই সেই বিলগুলি সরকার প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানান অধীর।
তিনি বলেন, 'কৃষি বিলের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের বিষয়গুলি। আমরা চাই সেগুলি প্রত্যাহার 🥂করে নেওয়া হোক। নিদেনপক্ষে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) বিষয়টি (বিলগুলিতে) অন্তর্ভুক্ত করা হোক। পঞ্জাব জ্বলছে।' প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ পাওয়ার অনশন করছেন বলে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ জানান, যদি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর 'বিলগুলি ফিরিয়ে নিতে রাজি হন🏅, তাহলে আমাদের অধিবেশনে থাকতে কোনও সমস্যা নেই।'
সেই দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃত হয় কেন্দ্র। তারপরই লোকসভার অধিবেশন বয়কটের পথে হাঁটে কংগ🎐্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলি। একইসঙ্গে সাসপেন্ড হওয়ার রাজ্যসভার আট সাংসদের প্রতিও সমর্থন জানান তাঁরা। তারপরꦍ বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
তারইমধ্যে সন্ধ্যা ছ'টায় রাজ্যসভায় বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করা বিরোধী সাংসদরা সেই বৈঠকে থাকছেন না। ১১ সদস্যের কমিটিতে ꦇপাঁꦆচজন বিরোধী সাংসদ রয়েছেন। তাঁরা হলেন - তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও'ব্রায়েন, কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা ও জয়রাম রমেশ, আরজেডির মনোজ কুমার ঝা এবং সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব।
বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ, মাত্র এক ঘণ্টা আগে তাঁদের বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ফলে তাঁদের পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য হাতে কার্যত সময় ছিল না। যদিও রাজ্যসভার আধিকারিকরাা জানিয়েছেন, অত্যন্ত স্বল্প সময়ে বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটির সকল সদস্যকে যত দ্রুত জানানো হয়, তার যাবতীয় চেষ্টা করা হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে যে বৈঠক সংসদের উচ্চকক্ষের সাপ্তাহিক কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য হয়। আ💮র এবার এমন সময় সেই বৈঠক হচ্ছে, যখন দু'একদিনের মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।