অসমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের (MSME) শিল্প গড়ে তোলায় ছাড় ঘ⛎োষণার ফলে রাজ্যের ভূমিপুত্রদের জমির অধিকার খর্ব হবে 💧না, জানাল প্রশাসন।
সম্প্রতি অসমের শিল্পমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি জানিয়েছেন, সরকার কোনও মতেই যে কোনও 🐼জমিতে শিল্প গড়ার অনুমতি দেবে না। একই সঙ্গে꧋ কৃষি জমির চরিত্র বদলে তাতে শিল্প গঠন করার অনুমোদনও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রাজ্যে দ্রুত শিল্পায়ন চালু করার উদ্দেশে স্রেফ একটি নিজস্ব ঘোষণাপত্র জমা দিলেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে বলে অর্ডিন্ಞযান্স জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, যে জমিতে শিল্প গড়া হবে, তার চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটেছে বলে গ্রাহ্য হবে।
সরকারের এই ঘোষণায় স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দেয় যে, বহিরাগতরা কৃষিজমি কিনে তার চারিত্রিক পরিব𓆉র্তন ঘটিয়ে শিল্পায়ন করবে। এর জেরে ভূমিপুত্রদের স্বার্থ খর্ব হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির এবং একাধিক মানবাধিকার সংগঠন।
পরিস্থিতি সামলাতে শিল্পমন্ত্রী পাটোয়ারি❀ জানিয়েছেন, ‘অসম সরকারের এই অর্ডিন্যান্স ভূমিপুত্রদের জমির অধিকার খর্ব করবে না। সেই অধিকার ২০১৫ সালের অসম কৃষিজমি আইন দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে।’
তিনি আরꦡও জানিয়েছেন, ‘কৃষিজমি অ-কৃষিকাজে ব্যবহার﷽ের জন্য হস্তান্তরের লউপরে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে, তা এই অর্ডিন্যান্সের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।’
অসম সরকারের প্রস্তাবিত অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, দমকল ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের ছাড়পত্র ছাড়া অন্য কোনও নথিপত্র জমা না দিয়েই শিল্প গড়া যাবে। তবে প্রথম ৩ বছর অতিক্রম করারꦓ পরে সমস্ত অনুমোদন জোগাড় করার জন্য মাত্র ৬ মাস স⛎ময় দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।
তবে শিল্পমন্ত𓆉্রী জানিয়েছেন, অ🐼ন্য কারও কৃষিজমিতে শিল্প গড়ার অনুমোদন না পাওয়া গেলেও জমির মালিক স্বয়ং ইচ্ছা করলে তাঁর কৃষিজমিতে শিল্পায়ন করতে পারেন। আপাতত অর্ডিন্যান্সটি রাজ্যপালের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।