পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল শনিবার। এই আবহে সপ্তাহান্তে ওপারের কাশ্মীরে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল গতকাল। এর জেরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছিল বলে দাবি করা হয় স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর আগে পুলিশি অভিযানের জেরে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এর প্রতিবাদেই গতকালকের এই ধর্মঘট পালিত হয় নিয়ন্ত্রণ রেখার পশ্চিমে। আর শনিবারও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে বলে জানা গিয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানান কয়েক হাজার মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পাক পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা নাজেহাল হন। এই সব সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দুই জন বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের এক আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'আদালতꦛের নির্দেশ না মেনে' মে'র বেতন কাটা যাবে সরকারি শিক্ষকদের! জারি বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: এবার হাওড়া থেকে সাঁতরাগাছি রুটে চালু ꦺহব𒉰ে মেট্রো? সামনে এল বড় 'পরিকল্পনা'
রিপোর্ট অনুযা🍸য়ী, জম্মু-কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির আহ্বানে শুক্রবার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে শাটার ডাউন এবং হুইল-জ্যাম ধর্মঘট দেখা যায়। সেই বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে। এর জেরে বাড়িঘর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানিয়েছে দ্য ডন সংবাদপত্র। এই সংঘর্ষে বহু সাধারণ মানুষও জখম হন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে শনিবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ফের ধর্মঘট পা💃লিত হয়। সামাহনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, খুইরাত্তা, টাট্টাপানি, হাট্টিয়ান বালাসহ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় শনিবারও বিক্ষোভ হয় এর জেরে।
আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখার লোকাল ট্রেন যা𓄧ত্রীদের 'অপেক্ষা' বাড়ল, বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিতে মুজাফফরাবাদ ও মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন অংশে রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর শুক্রবার জেকেজেএএসি এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। এর আগে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ১১ মে মুজাফফরাবাদের দিকে লং মার্চ করার🉐 কথা ছিল। পাবলিক অ্যাকশন কমিটি বিদ্যুৎ বিলে ধার্য 'অন꧙্যায্য' করের প্রতিবাদে এই আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল। গত বছর অগস্টেও একই ধরনের হরতাল পালন করা হয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে।
আরও পড়ুন: '…ভাতা দেওয়া যাবে না', 🌟বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের, সরকারি কর্মীদের মাথায় পড়বে হাত
এই আবহে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুখ্যসচিব ইসলামাবাদে স্বরাষ্ট্র বিভাগের সচিবকে চিঠি লিখে ১১ মে'র ধর্মঘটের কারণে নিরাপত্তার জন্য ছয় প্লাটুন সশস্ত্র বাহিনী চেয়েছিলেন। পাশাপাဣশি তিন মাসের জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর অনুরোধও জানি꧑য়েছিলেন সেখানকার মুখ্যসচিব দাউদ মুহাম্মদ বারিচ। এদিকে ধর্মঘট পালনের আগেই সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল এবং ১০ ও ১১ মে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছিল। পাশাপাশি ব্যাঙ্কও বন্ধ ছিল। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব জেলাতেই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।