ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে গিয়ে এমনিতেই ♚নানা ধরনের 'ব্লকিং'-এ জেরবার পাকিস্তানের আমজনতা। তারই মধ্যে এক আজব মন্তব্য করে বসল সেদেশের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদ।
তাদের বক্তব্য, 'ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক' বা ভিপিএন ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে 🎃কোনও ধরনের 'ব্লক্ড কনটেন্ট' দেখা আদতে 'ইসলামিক আইꦦনের বিরোধী'!
শুক্রবারই সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদের তরফে এই মন্তব্য করা হয়েছে। যা অত্যন্ত তাꦅৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তার ঠিক আগেই পাক প্রশাসনের তরফে দেশব্যাপী নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, যিনি বা যাঁরা ভিপিএন ব্যবহার করছেন, তাঁদের সকলকে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রকের কাছে নথিভুক্ত করাতে হবে।
যদিও সরকার♐ পক্ষের দাবি, দেশের নিরাপত্তার স্বার্🍃থেই এমনটা করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদীরা যাতে নাশকতা ছড়াতে না পারে, তার জন্যই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।
সরকারের এই পদক্ষেপের পরই আসরে নামে পাকিস্তানের 'কাউন্স꧙িল অফ ইসলামিক আইডিওলজি'। তাদের দাবি, যাঁরা পা♑কিস্তানের মাটিতে বসে ভিপিএন ব্যবহার করেন, তাঁরা আসলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেইসব কনটেন্ট দেখেন, যেগুলি ইসলামিক আইন অনুসারে নিষিদ্ধ!
ওই পরিষদের আরও দাবি, এইসব নিষিদ্ধ কনটেন্টের মধ্যে 'বহু অনৈতিক বিষয় এবং বিভিন্ন পর্ন ওয়েবসাইট পর্যন্ত রয়েছে। যার জেরে সমাজে🌠 অরাজকতা ছড়াচ্ছে'! ওইসব তথাকথিত নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে মিথ্যা ও ভুয়ো তথ্য পরিবেশিত করা হয় বলেও সংশ্লিষ্ট পরিষদের তরফে দাবি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, 'ইন্টারনেট পরিষেবা-সহ যে কোনও প্রযুক𓆏্তি, যা ব্যবহার করে অনৈতিক এবং বেআইনি বিষয়ের নাগাল পাওয়া যায়, সেসবই আদতে ইসলামিক আইন ও নীতি অনুসারে নিষিদ্ধ!'
সংশ্লিষ্ট পরিষদের চেয়ারম্যান রঘিব নইমিক🔥ে উদ্ধৃত করে পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্র মন﷽্ত্রকের তরফে 'পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি' বা পিটিএ-কে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এই মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেদেশে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে।
পিটিএ-কে পাঠꦦানো চিঠিতে পাক প্রশাসনের ত♏রফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা অবিলম্বে সমস্ত বেআইনি ভিপিএন ব্লক করে দেয়। কারণ, সন্ত্রাসবাদীরা ওইসব ভিপিএন ব্যবহার করেই নাশকতা ছড়াচ্ছে।
সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'সন্ত্রাসবাদীরা নাশকতা চালানোর জন্য এবং আর্থিক লেনদেন করতে ভিপিএন-এর♑ ব্যবহার বাড়িয়েছে।' পাশাপাশি, ভিপিএন ব্যবহার ক🅺রে পর্নোগ্রাফি ছড়ানো হচ্ছে বলেও ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে।