বাজারে এক ডজন ডিমের দাম ৪০০ টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এই আকাশছোঁয়া দাম হয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। কিনতে গেলে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। সব জিনিসের দামই আকাশছোঁয়া বেড়েছে বলে জানাচ্ছে এআরওয়াই নিউজ। এই চড়া দামেই ডিম বিকোচ্ছে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানে। সে দেশেরই সংবাদমাধ্যম এআরআই নিউজে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এক ডজন ডিমের দাম ৪০০ পাকিস্তানি রুপি। রবিবার বাজꦉার ঘুরে এই তথ্য পরꦯিবেশন করেছে এআরওয়াই নিউজ। যা শুনে সকলের চোখ কপালে উঠেছে।
এদিকে এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধি হলেও পাকিস্তার স্থানীয় প্রশাসন সেটা বাগে আনতে পারেনি। সরকারি দাম বেঁধে দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এখানে পিঁ♔য়াজের দাম ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সরকারি রেট ১৭৫ টাকা কেজি। কিন্তু তা বাজারে কার্যকর করা যায়নি বলেই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বাজারে চিকেন ৬⛎১৫ টাকা কেজি দরে পৌঁছে গিয়েছে। এই আকাশছোঁয়া দাম দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনতে বিপুল পরিমাণ চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের জনগণ।
অন্যদিকে পাকিস্তানে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। হু হু করে বাড়ছে পণ্যের দাম। ডিসেম্বর মাসে ইক💯োনমিক কো–অর্ডিনেশন কমিটি নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশানাল প্রাইস মনিটরিং কমিটিকে, প্রত্যেকদিন সমন্বয় রক্ষাꦰ করতে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে। যাতে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং একটা ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম যাতে মানুষ জানতে পারে তার জন্য প্রচার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এতকিছুর পরও দাম নাগালে রাখা তো গেলই না উলটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এখন আকাশছোঁয়া দামে কিনতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ⛦কমিশনের কাজ শুরু বাংলায়, জেলাভিত্তিক রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ শুরু
এছাড়া কোথাও যেন পণ্য মজুত করে রেখে কৃত্রিম সংকট না তৈরি করা হয় সেটা দেখার ꧒জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন পাকিস্তানের কাঁধে ৬৩,৩৯৯ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির ঋণের বোঝা আছে। তবে এই দামবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক বসে। যার সভাপতিত্ব করেন অর্থ, রাজস্ব এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক ফেডারেল মন্ত্রীরা। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টেও পাকিস্তানের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে আশাব্যঞ্জক কোনও কথা শোনা যায়নি। তাই আবার বেড়ে চলেছে দারিদ্র।