বৃহস্পতিবার ভোরে পঞ্জাব প্রদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইসলামাবাদ ঢউকে পড়েছিল ইমরান খানের আজাদি মার্চ। আর সেই মিছিল ঠেকাতে পাকিস্তানের রাজধানীতে সেনা নামালেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। মূলত ইসলামাবাদের রেড জোনে যাতে কোনও আন্দোলনকারী ঢুকে না পড়তে পারে তার জন্যই সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এই রেড জোনেই রয়েছে পাকিস💎্তানের সুপ্রিম কোর্ট, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এই আবহে ইসলামাবাদে পুলিশ ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে জোর সংঘর্ষ হয়। যার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পাক রাজধানী। প্রসঙ্গত, দ্রুত নির্বাচন করার দাবিতেই এই মিছিল শুরু করেন ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার ভোরে ইসলামাবাদের ডি চকে পৌঁছে যান ইমরান খান। এদিকে তাঁর দলের সমর্থকদের ঠেকাতে প✅ুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়। পিটিআই সমর্থকরা পালটা ভাঙচুর করে রাস্তায়। সব মিলিয়ে গোটা রাজধানী যেন এক বড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। জানা গিয়েছে, ইমরান খানের গাড়ি ইসলামাবাদে ঢোকার আগেই ইসলামাবাদের ‘ব্লু এরিয়া’তে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। এর বদলে জায়গায় জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে পিটিআই সমর্থকরা🅘।
এদিকে পাকিস্তানের জিও নিউজের তরফে দাবি করা হয়, পিটিআই সমর্থকরা তাদের অফিসে হামলা চালায় এবং এতে বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন। হামলার সময় অফিসের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে ইসলামাবাদের পেশাওয়ার মোড়ের কাছে আজাদি মার্চের অনুমতি দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও পিটিআই সম🌳র্থককে গ্রেফতার করা যাবে না। যদিও এরপরও পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর আস🌄ে। লাহোরের পাশাপাশি করাচিতেও হিংসার খবর মেলে।