প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ডাক দিয়েছেন। অথচ রেলের স্টেশনগুলির দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে কতটা স্বচ্ছ হয়েছে। নোংরা শৌচালয় থেকে আবর্জনা–ময়লা যুক্ত স্টেশন চত্বর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। এসব অভিযোগ স্বয়ং রেল যাত্রীদের। এবার রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হল, সারা দেশের প্রায় ন’হাজারജ স্টেশনের মধ্যে খুব কম স্টেশনই রয়েছে ‘মেকানাইজড ক্লিনিং সিস্টেম’–এর আওতায়। এমনকী বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা পূরণেরও উদ্যোগী হওয়ার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
ঠিক কী কী জানিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি? সংসদে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রেল স্টেশনের ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ টয়লেট পরিষ্কার রাখতে বাইরে থেকে পেশাদার সংস্থা নিয়োগ করে রেল। সꦓেই সংস্থার কর্মীরাই মেকানাইজড ক্লিনিং সিস্টেমে কাজ করেন। কিন্তু তারপরও কাজ না হওয়ায় এই নিয়ে অসন্তোষও ব্যক্ত করেছে রেলের ♑সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে, বিপুল পরিমাণ ট্রেন যাত্রীদের তুলনায় মেকানাইজড ক্লিনিং সিস্টেমের আওতায় থাকা স্টেশনগুলির সংখ্যা অত্যন্ত কম।
এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেকদি🔯ন ২ কোটি ৩০ লক্ষেরও কিছু বেশি যাত্রী স্টেশনগুলি ব্যবহার করেন। তাই শৌচালয় থেকে স্টেশন চত্বরও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। জবাবে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে এক হাজারেরও কিছু বেশি স্টেশনে মেক🅺ানাইজড ক্লিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
আর কী জানিয়েছে কমিটি? এদিন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানিয়ে💟ছে, স্টেশনে পানীয় জলের উৎস অপর্যাপ্ত। রেলের বোতলবন্দি পানীয় জল ‘রেল নীর’–এর জোগান চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া পানীয় জলের যে ব্যবস্থা করা আছে তাও অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর। তাই অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।