দিল্লি🐈 থেকে বোকারো যাওয়ার পথে ট্রেনের গেটেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম য🅺াত্রী। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। নিজের অসাবধানতার কারণে ঘুমন্ত ওই যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন ৬০ ফুট নিচে। একটি নদীতে পড়ে যান ওই যাত্রী। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন ওই যাত্রী। যাত্রীর নাম মনোজ করমালি। ট্রেন থেকে তিনি কোয়েল নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে নদীতে জল থাকার কারণে তিনি প্রাণে বেঁচেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট𝔍্রেন থেকে পড়ে জখম যাত্রী, হাসপাতালের বাইরে ফেলে রেখে চলে গেল RPF
জানা গিয়েছে, ওই যুবক জম্মু তাওয়াই–টাটা সম্বলপুর এক্সপ্রেসের একটি সাধারণ শ্রেণির কামরায় দরজার কাছে বসে ছিলেন। দিল্লি থেকে রাতভর ভ্রমণের কারণে ঘুমোতে পারেননি। তাই গেটে বসার পরেই ঘ🔜ুমে চোখ লেগে ওই যাত্রীর। এরপরেই হাত ফসকে বাতাসের ঝাপটায় তিনি ট্রেন থেকে পরে যান। পরে যাওয়ার পরেই ওই ব্যক্তি নিজেকে জলের মধ্যে খুঁজে পান। দিশেহারা হয়ে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করেন। নিজেকে জলের মধ্যে দেখতে পেয়ে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন। তিনি নদীর তীরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নদীতে জল থাকায় সেতুর পিলারের কাছে আশ্রয় নেন ওই ব্যক্তি।
ভারপ্রাপ্ত আরপিএফ আধিকারিক বানারসী যাদব জানান, ট্রেনটি কোয়েল নদীর ২ নম্বর রেল সেতౠুর উপর দি🐽য়ে যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে পড়ে যান মনোজ করমালি। ঘটনাস্থলে নদীর খাদ অগভীর ছিল। গারোয়া রেলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিজয় প্রসাদ জানান, ‘সকাল ৮.৪০ টায় আমরা এই ঘটনার কথা জানতে পারি। এরপর আরপিএফের ৩ সদস্যের দল সেখানে পৌঁছে মনোজকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ১৮ মিটার নীচে পড়ে গিয়েছিলেন।’ উদ্ধারের পর মনোজকে বিশ্রামপুরের কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এই ঘটনার কথা বোকারোতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ট্রেনে এই ধরনের ঘটনা এর আগে বহু ঘটেছে। ম✱াসখানেক আগেই রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলেন এক যাত্রী। জানা যায়, ডাউন শিয়ালদা–ক্যানিং লোকালে করে তিনি ক্যানিংয়𝕴ে ফিরছিলেন। প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পেতে তিনি ট্রেনের দরজার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘুঁটিয়ারি শরীফ স্টেশন পেরোতেই ঘটে বিপত্তি। ঘুমে চোখ লেগে যায় ওই ব্যক্তির। তারপরেই তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।