মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন (এফডিএ) জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত করোনা রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি নন, তাঁদের শরীরেও প্রয়োগ করা যেতে পারে রেমডেসিভির। এই অ্যান্টিভাইরাল মেডিকেশন ঘিরে এই ছাড়পত্র কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন অনেকে। এফডিএ জানিয়েছে, কোভিডের ঝুঁকি যে সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে বেশি তাঁদের জন্য এই রেমডেসিভির প্রয়োগ করা যাবে। এক্ষেত্রে রোগী যদি হাসপাতালে ভর্তি নাও হয়ে থা🉐কেন, তাহলেও বাড়িতে এই ড্রাগ দেওয়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে এফডিএ।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক হাসপাতাল কেবলমাত্র রেমডেসিভিরকে বাড়িতে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে প্রয়োগ করছে। তবে এফডিএর পদক্ষেপ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এফডিএ-র এই পদক্ষেপের ফলে বাড়িতে চিকিৎসারত বহু রোগীকে রেমডেসিভির ওষুধ দিতে পারবেন চিকিৎসকরা। তবে এই ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে বড় ♓সমস্যা হল, এই ওষুধ হাসপাতালে বা ক্লিনিকে দেওয়া সুবিধাজনক। কারণ এই ওষুধ ইন্টারভেনাস পদ্ধতিতে দিতে হয় পর পর তিনদিন। সেক্ষেত্রে বাড়িতে অসুস্থ হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে খানিকটা সমস্যা বেড়ে যায়। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে তা সুবিধাজনক হচ্ছে। এদিকে, ওমিক্রন 🃏স্রোতের ধাক্কায় গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিধ্বস্ত আমেরিকা।
সেদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রন স্রোতের ধাক্কায় যখন গোটা দেশের একাধিক নার্সিং কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী সহ চিকিৎসকরা অসুস্থ, তখন এই রেমডেসিভিরের প্রয়োগে ছাড়পত্র এলেও তা কার্যকর করতে সমস্যা থেকে যাবে। কারণ, করোনা বিধ্বস্ত দেশে আপাতত চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের কমতি রয়েছে। 🐻গবেষণা বলছে, যাঁরা ভ্যাকসিনেটেড নন, তাঁদের যদি রেমডেসিভির দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮৭ শতাংশ কমে যায়। এমনকি হাসপাতালে ভর্তির মতো পরিস্থিতি এলেও তা এড়ানো যেতে পারে এই ওষুধের প্রয়োগে। বিভিন্ন গবেষণয় দাবি করা হয়েছে, করোনা ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার বিরুদ্ধে রেমডেসিভির যতটা কার্যকরী ঠিক ততটাই তা কার্যকরী করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণের সূচনালগ্নে প্রথম ওষুধ হিসাব রেমডেসিভির মান্যতা পেয়েছিল। তবে তার প্রয়োগ নিয়েও বহু গবেষণা নানা প্রশ্ন তুলেছিল। তবে আপাতত কোভিডের চিকিৎসায় রেমডেসিভিরের গ্রহণযোগ্যতা অন💎েকক্ষেত্রেই তাৎপর্যপূর্ণ।